বলিউডের যেসব ষোড়শী নায়িকা আবির্ভাবেই আলোড়ন তুলেছিলেন


আনুশকা শর্মা ক্যারিয়ারের শুরুতেই হার্টথ্রব শাহরুখ খানের বিপরীতে সুযোগ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।

চিত্রজগতে ষোল বয়সের নায়িকা মেলা বড় ভার।

ষোল মানে ষোলকলা – সব দিক দিয়েই দর্শকদেরকে মাতাল করা বয়স ষোল। হিন্দি সিনেমার জগতে ষোল বয়সী নায়িকা একজনও ছিল না এবং এখনও নেই। মেক -আপ গেটআপের মাধ্যমে হিন্দি সিনেমায় ষোল হয়ে বনে যান ওরা।

অনেকেই প্রশ্ন ছুড়ে মেরে বলেন, ওঁরা কি বুড়ি?

২০২২ সালে ষোল বয়সী যারা তাদের জন্ম বছর ২০০৬ সালের আগে কিছুতেই হতে পারে না। আজ হিন্দি সিনেমায় যে সকল নায়িকা যৌবন জোয়ারে গা ভাসিয়ে উঠতি বয়সের তরুণদের বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন,  হিসাব -নিকাশ কষলে দেখা যাবে তাদের বয়স কম করে হলেও কুড়ির কম নয়।

সামগ্রিক ভাবে দেখা যায়, সেক্সি এবং তরুণী বলিউড নায়িকাদের তালিকায় যারা বলিউডে রাজত্ব করছেন বর্তমান সময়েও তাঁরা হলেন বিদ্যা বালান, হুমা কুরেশি, শ্রদ্ধা কাপুর, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ প্রমুখ, কিন্তু এঁদের কারো বয়স ষোল নয়।

প্রথম দিকে, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ তাঁর অভিনয় জীবনের এক শক্তিশালী সূচনার মুখোমুখি হয়েছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে তিনি তার প্রতিভা দিয়ে অভিনেত্রী হিসাবে বিকাশ ও উন্নতি করেছেন। তাঁর পক্ষে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক সাফল্যের মধ্যে রয়েছে – হাউসুলাল, রেস টু, কিক, হাউসফুল থ্রি , ডিশুম ইত্যাদি।

 

জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ
জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ, ছবি: সংগৃহীত

 

ফার্নান্দেজের জন্ম ১৯৮৫ সালের ১১ আগষ্ট বাহরাইনের মানামায়। তাঁর জাতীয়তা – শ্রীলঙ্কান।

তিনি ২০০৯ সালে মুম্বাইয়ে এসে ‘আলাদিন’ চলচ্চিত্রের জন্য অডিশন দেন। তখন তাঁর বয়স ছিল চব্বিশ বছর।

প্রথম ‘আলাদিন’ ছবিতে অভিনয় করেন। এরপরে ফার্নান্দেজ অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হল – জানে কাহাসে আয়ি হ্যায়, হাউজফুল, মার্ডার টু, হাউজফুল টু, রেস টু, রামাইয়া ভাসতাভাইয়া, কিক, রায়, ব্রাদার্স, ডেফিনেশন অব ফিয়ার, হাউজফুল থ্রি, ডিশুম, অ্যা ফ্লাইং জাট, অ্যা জেন্টলম্যান, রেস থ্রি, সাহো, ড্রাইভ, মিসেস সিরিয়াল কিলার, অ্যাটাক পার্ট ওয়ান, সার্কাস – ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: বাংলা মুভি দেখার জন্য সেরা ১০টি ওয়েবসাইট

করণ জোহরের মাধ্যমে তাঁরই হাত ধরে তরতর করে আলিয়া ভাট সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠে এসেছেন। বয়স হলেও তিনি কেবল টকটকেই নন, তিনি প্রতিভা শক্তির একটি পাওয়ার হাউসও বটে। আলিয়া ভাটের সাফল্য আসে বদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া, প্রিয় জিন্দেগীতে। আলিয়া ছবি হাতে নেওয়ার আগে স্ক্রিপ্ট বেছে নেন, গল্প ও চিত্রনাট্যকে তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি ছবিটি হাতে নেওয়ার আগে চরিত্রকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, পাশাপাশি রোমান্টিকতাকে গুরুত্ব দেন। চরিত্রটির মাধ্যমে তিনি চ্যালেঞ্জ জানাতে চান। অবশ্য তাঁর ছবিতে লাভ থাকতে হবে। এ ব্যাপারে আগেই তিনি নিশ্চিত হয়ে নেন।

আলিয়া ভাটের জন্ম ১৯৯৩ সালের ১৫ মার্চ ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাইতে। তাঁর পিতার নাম মহেশ ভাট। আর মাতার নাম সোনি রাজদান।

 

আলিয়া ভাট
আলিয়া ভাট,ছবি: সংগৃহীত

 

আলিয়া ভাট অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হল – স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার, হাইওয়ে, টু স্টেটস, হাম্পটি শর্মা দি দুলহনিয়া, গোয়িং হোম, আগলি, শানদান, মুম্বাই মিরর, কাপুর অ্যান্ড সন্স, উড়তা পাঞ্জাব, গালি বয়, ডিয়ার জিন্দেগী, বদ্রীনাথ কি দুলহনিয়া, ওয়েলকাম টু নিউ ইয়র্ক, রাজি, জিরো, কলঙ্ক, আংরেজি মিডিয়াম, সড়ক টু, গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি, আর আর আর, ডার্লিংস, ব্রহ্মস্ত্র, রকি অর রানি কি প্রেম কাহানি -ইত্যাদি।

তিনি অভিনেত্রী, মডেল ও গায়িকা। ২০২২ সালে আলিয়া ভাট রণবীর কাপুরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

আনুশকা শর্মা এ সময়ের সেরা প্রতিভা। যশরাজ ফিল্মসের মধ্যে তাঁর বিচরণ বেশি। তাঁর প্রথম নামধাম হয় ‘রব নে বানা দি জোদি’ ছবিতে। সাম্প্রতিক সময়ে আনুকশা শর্মা দর্শকের হৃদয়কেও জয় করে নিয়েছেন এ দিল হৈ মুশকিল, কুস্তিগীর সুলতান এবং ভূত ফিল্লৌরির বদৌলতে।

আনুকশা শর্মা
আনুকশা শর্মা, ছবি: সংগৃহীত

 

আনুকশা শর্মার জন্ম ১৯৮৮ সালের ১ মে ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায়।

তাঁর পিতা অজয় কুমার শর্মা একসময় ভারতের একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন।

আনুকশা শর্মা লেখাপড়া করেছিলেন বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১২ সালে তিনি শাহরুখ খানের বিপরীতে রোমান্টিক সিনেমা ‘জব তক হ্যায় জান’ ছবিতে অভিনয় করে উপমহাদেশ জুড়ে জনপ্রিয় তারকা হয়ে ওঠেন।

কুড়ি বছর বয়সে আনুকশা শর্মা চলচ্চিত্রে যোগ দেন।

তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি আদিত্য চোপড়ার ‘রাব নে বানা দে’। এটি মুক্তি পায় ২০০৮ সালে। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হল – বদমাশ কোম্পানি, ব্যান্ড বাজা বারাত, পাতিওয়ালা হাউজ, লেডিস ভার্সেস রিকি ভাই, যাব তাক হ্যায় জান, মাতরু কি বিজলী কা মান্দোলা, পিকে, এনএইচ ১০, বোম্বে ভেলভেট, দিল ধাড়কানে দো, হাম হ্যায় হ্যাপি, সুলতান, এ দিল হে মুশকিল, ফিল্লাউরি, জাব হ্যারি মেট সেজাল ইত্যাদি।

২০১৭ সালে বিরাট কোহলির সঙ্গে আনুকশা শর্মা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

সোনাম কাপুরকে বলা হয়, ‘এ যেন একটি অত্যাশ্চর্য ফ্যাশনিস্টা’। তাঁর আগমনের শুরু থেকে ‘সাওয়ারিয়া’

দিয়ে অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

অসাধারণ অভিনয়ের জন্য সোনম কাপুর ফিল্মফেয়ার সেরা সমালোচকদের পুরস্কারও অর্জন করেছিলেন।

 

সোনম কাপুরের জন্ম ১৯৮৫ সালের ৯ জুন ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাইয়ের চেম্বুরে। তাঁর পিতা ও মাতার নাম যথাক্রমে – অনিল কাপুর ও সুনিতা কাপুর। অভিনয় জীবন শুরু করার আগে সোনম কাপুর সঞ্জয় লীলা বনসলির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। রূপালী পর্দায় তিনি আত্মপ্রকাশ করেন ২০০৭ সালে ‘সাওয়ারিয়া’ ছবিতে। ২০০৯ সালে সোনম কাপুর রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহেরার ‘দিল্লি সিক্স’ ছবিতে অভিনয় করে আলোচনায় উঠে আসেন। ছবিতে তাঁর নায়ক ছিলেন অভিষেক বচ্চন।

 

সোনম কাপুর
সোনম কাপুর, ছবি: সংগৃহীত

 

অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হল – আই হেট লাভ স্টোরিস, আইশা, থ্যাঙ্ক ইউ, মৌসম, প্লেয়ারস, বোম্বে টকিজ, রানঝান, ভাগ মিলখা ভাগ, খুবসুরত, মির্জা সাহিবান, প্রেম রতন ধন পায়ো -ইত্যাদি। ২০১৮ সালে সোনম কাপুর আনন্দ আহুজার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সোনম কাপুর যখন ফিল্মে অভিনয় শুরু করেন তখন তাঁর বয়স ছিল উনিশ বছর।

দীপিকা পাড়ুকোন স্বপ্নের মেয়ে হিসাবে শুরু করেছিলেন এবং এখন তিনি বলিউডের ‘পদ্মাবতী’ আসনটি দখল করে নিয়েছেন। বলিউড এবং হলিউডে দুর্দান্ত অভিনয়ে উচ্চতায় পৌঁছেছেন দীপিকা পাড়ুকোন।

দীপিকা পাড়ুকোনের জন্ম ১৯৮৬ সালের ৫ জানুয়ারি ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে। তিনি, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় প্রকাশ পাড়ুকোনের মেয়ে। তাঁর শৈশবকাল কেটেছে বেঙ্গালুরুতে। দীপিকা পাড়ুকোন ২০০৬ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন, তখন তাঁর বয়স ছিল কুড়ি বছর। তাহলে তিনিও ষোল বয়সে ছবির জগতে আসতে পারেননি। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হল – ওম শান্তি ওম, লাভ আজ কাল, লাফাঙ্গে পারিন্দে, বচনা হ্যায় হাসিনো, হাউসফুল, ককটেল, ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি, চেন্নাই এক্সপ্রেস, হ্যাপি নিউ ইয়ার, গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম লীলা, পিকু, বাজীরাও মাস্তানী -ইত্যাদি।

 

দীপিকা পাড়ুকোন
দীপিকা পাড়ুকোন, ছবি: সংগৃহীত

 

তিনি রণবীর কাপুরের প্রেমে জড়িয়ে তাঁর সোনার দেহটা বিকিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকেই।  কিন্তু অবশেষে রণবীর কাপুর তাঁকে ছেড়ে চলে গেলেন।

কঙ্গনা রানাউত স্টাইল এবং যৌন আবেদনকে আকর্ষণীয় করেছেন, যদিও বলিউডে এটি একটি পলিমিক ব্যক্তিত্ব। জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী কঙ্গনা মাত্র ১৭ বছর বয়সে বলিউডে পা রেখেছিলেন। তাহলে ষোল কোথায় ছিল? ষোল পেরিয়েই তো এসেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। কঙ্গনা রানাউত বা কঙ্গনা রনৌতের জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৩ মার্চ ভারতের হিমাচল প্রদেশের মন্ডী জেলার ভাম্বলায়। তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে মডেলিং শুরু করেন। তবে কঙ্গনার চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ ২০০৬ সালে, তখন তাঁর বয়স ছিল উনিশ।

 

কঙ্গনা রানাউত
কঙ্গনা রানাউত, ছবি: সংগৃহীত

 

কঙ্গনা রানাউত এরপরে – লাইফ ইন এ মেট্রো, ফ্যাশন, রাজ দ্য মিস্ট্রি কন্টিনিউস, ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বাই, তনু ওয়েডস মনু, কৃষ -৩, কুইন, মণিকর্ণিকা – দ্য কুইন অব ঝাঁসি, পাঙ্গা, ধকর ইত্যাদি ছবিতে অভিনয় করেন।

কঙ্গনা রানাউত বেশ কয়েকবার জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। পাশাপাশি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছিলেন।

ক্যাটরিনা কাইফ হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার পরে দেহ প্রদর্শনের মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেন।

ক্যাটরিনা কাইফের জন্ম ১৯৮৩ সালের ১৬ জুলাই চীনের হংকংয়ে। তাঁর জাতীয়তা ব্রিটিশ নাগরিকত্ব। চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি জুয়েলারির বিজ্ঞাপন চিত্রে মডেল হন। ২০০৩ সালে ক্যাটরিনা কাইফ হিন্দি ফিল্মে যোগ দেন।

আরও পড়ুন: রানী মুখার্জী মানেই ছিল বাঙালির বুক ফুলিয়ে ঘোরা

সেই ছবিটি হল ‘বুম’। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার সময় ক্যাটরিনার বয়স ছিল কুড়ি বছর, কুড়ি মানে বুড়ি।

এরপরে হিন্দি ভাষাতে তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবি হল – সরকার, ম্যায়নে পেয়ার কিউ কিয়া, হামকো দিওয়ানা কর গায়ে, আপনে, পার্টনার, ওয়েলকাম, নিউইয়র্ক, যুবরাজ – ইত্যাদি। অক্ষয় খান্নার সঙ্গে ক্যাটরিনার মাখামাখি অবস্থা সেই সময়ে বলিউডে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

বলিউডের ডার্লিং হলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ওরফে পিসি। তিনি তাঁর প্রতিটি ছবিতে উত্তেজনাপূর্ণ ভূমিকায় নিজেকে উপস্থাপন করেছেন।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার জন্ম ১৯৮২ সালের ১৮ জুলাই বিহারের জামশেদপুরে। তাঁকে নিয়ে এখনও হৈচৈ রৈরৈ। অথচ তাঁর বর্তমান বয়স এই ২০২২ সালে চল্লিশ বছর। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ড উপাধি লাভ করেন। প্রথম অভিনয় করেন তামিল ভাষার ছবিতে, ছবিটির নাম ‘ঠামিজান’। এটি মুক্তি পায় ২০০২ সালে। ২০০৪ সালে ‘আন্দাজ’ ছবিতে অভিনয় করে সেরা নবাগত অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হল –

দোস্তানা, বরসাত, গড তুসি গ্রেট হূ, মুঝসে শাদী করোগী, কৃষ, ডন, বর্ফী, অগ্নিপথ, জাঞ্জির, বাজীরাও মাস্তানী, দ্য স্কাই ইজ পিনক -ইত্যাদি। তাঁর স্বামীর নাম নিক জোনাস।

টাইম ম্যাগাজিন প্রকাশিত তালিকায় প্রিয়াঙ্কা চোপড়া শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালী নারী হিসেবে তালিকাভুক্ত

হয়েছিলেন।

 

 বিদ্যা বালান
বিদ্যা বালান, ছবি: সংগৃহীত

 

বিদ্যা বালানের জন্ম ১৯৭৮ সালের ১ জানুয়ারি ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাইতে। তিনি ১৯৯৫ সালে মুম্বাইয়ের হিন্দি সিনেমায় যোগ দেন। তখন তাঁর বয়স ছিল সতেরো বছর – সতেরো আর ষোল তখন তো ছিল কাছাকাছি। সতেরো বছর বয়সে বিদ্যা বালান একতা কাপুর পরিচালিত ‘হাম পাঁচ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। এরপরে তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হল – পরিণীত, কিসমত কানেকশন, ভুল ভুলাইয়া, লাগে রাহো মুন্না ভাই ইত্যাদি। ২০১২ সালে তিনি সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

হুমা সেলিম কোরেশির জন্ম ১৯৮৬ সালের ২৮ জুলাই ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। তিনি চলচ্চিত্র জগতে যোগ দেন ২০১২ সালে, তখন তাঁর বয়স ছিল ছাব্বিশ বছর। হুমা অভিনীত প্রথম ছবি হল ‘গ্যাং অফ ওয়াসিপুর’। এরপরে অভিনয় করেন – তৃষ্ণা, লাভ সাব তেয় চিকেন খুরানা, উপনিষদ গঙ্গা, এক থি ডায়ান ইত্যাদি ছবিতে।

শ্রদ্ধা কাপুরের জন্ম ১৯৮৯ সালের ৩ মার্চ ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাইতে। তিনি অভিনেত্রী ও সঙ্গীত শিল্পী। তাঁর পিতার নাম শক্তি কাপুর। শ্রদ্ধা কাপুর একুশ বছর বয়সে চলচ্চিত্র জগতে যোগ দেন। তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি হল ‘টীন পাটি’। এ ছবিটি মুক্তি পায় ২০১০ সালে। এরপরে তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হল – লাভ কা দ্য এন্ড, আশিকি টু, গোরি তেরে পয়োর মেঁ, এক ভিলেন, হায়দার, আঙ্গলি, এবিসিডি টু, বাগি ইত্যাদি।

মনে আছে, ঠাকুরমা বলতেন কুড়ি মানে বুড়ি। আর

এই বুড়ি নায়িকারা মেক -আপ করে ছুকড়ি সেজে অনেক দর্শকের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বঙ্গনায়িকা রাখী গুলজার যেভাবে মাতিয়ে ছিলেন বোম্বে

হিন্দি ছবিতে বুড়িদের ছুকড়ি সাজার যেন অভাব নেই

আজকাল। এঁরা এমন সব কস্টিউমস পরেন যা দেখে বোঝার উপায় নেই এরা যে বুড়িটুড়ি।

রূপালী পর্দায় আমি খুঁজি ষোল , আমি ৭০ বয়সে তাতে কি বা আসে যায়।

৭০ বয়সে  – ১৬ বয়সী নায়িকা দেখায় প্রবল আনন্দ জাগায় হৃদয়ের একূলে -ওকুলে, আমার হৃদয় জুড়ে শুধুই ভালোবাসা, করে যে উথাল পাথাল।

৭০ – তাতেও যৌবনের ঢেউ। রূপালী পর্দায় ১৬ তে শুধুই সজীবতা আনে, ষোলতে আছে কোমলতা।

ষোল’র দেহ – সৌন্দর্যে -রসে করে টসটস, হই আকৃষ্ট।

ইচ্ছে করে প্রেক্ষাগৃহের সিনেমার পর্দার কাছে গিয়ে,

কামনা -বাসনার এই দেহ বিকিয়ে দেই ষোল’র জন্য। কিন্তু ষোল কোথায়?

অনুশোচনা , হিন্দি সিনেমা জগতে ষোল নেই একজনাও !