লন্ডন কোন দেশের রাজধানী এই প্রশ্নটির উত্তরে অনেকেই দোটানায় পড়ে যান। আবার বাংলাদেশে কেউ কেউ লন্ডনকেই একটি দেশ মনে করেন। যেহেতু ভারতীয় উপমহাদেশ প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশের পরাধীন ছিল, লন্ডন আমাদের কাছে প্রজন্ম পরম্পরায় একটি আলোচিত শহর।
লন্ডন বিশ্বের পুরনো শহর গুলোর একটি। ঔপনিবেশিক আমলে এটি পুরো বিশ্বের কাছেই ছিল যোগাযোগের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। বিশেষত যখন আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চল ছিল ব্রিটিশদের হাতে পরাধীন। বলা হত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনো সূর্য অস্ত যায় না।
লন্ডন কোন দেশের রাজধানী?
এই প্রশ্নের উত্তর দুই ভাবে দেয়া যায়। প্রথমত: লন্ডন যুক্তরাজ্যের রাজধানী এবং সবচেয়ে বড় শহর। আমরা জানি চারটি দেশ নিয়ে যুক্তরাজ্য গঠিত। এই চারটি দেশ হচ্ছে ইংল্যান্ড, স্কটল্য়ান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলস।।
দ্বিতীয়ত: চারটি দেশ নিয়ে যুক্তরাজ্য গঠিত হলেও প্রত্যেকটি দেশের আলাদা অস্থিত্ব রয়েছে।
এই হিসাবে ইংল্যান্ড একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম দেশ। ইংল্যান্ডের অধিবাসীদের জাতিস্বত্তা হচ্ছে ইংরেজ বা ইংলিশ। ইংল্যান্ডের রাজধানী হল লন্ডন।
যেহেতু যুক্তরাজ্য বিশ্বের মানচিত্রে এককভাবে নিজস্ব পরিচিতি ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে টিকে আছে, সেহেতু লন্ডন যুক্তরাজ্যের রাজধানী হিসাবে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই পরিচিতি অবশ্য লন্ডনের জন্য অধিক মর্যাদার।
আরও দেখুন:
লন্ডনে কম খরচে থাকা খাওয়ার জায়গা পাবেন যেখানে
লন্ডনে শিক্ষার্থীরা সহজেই থাকার জায়গা পাবেন যেভাবে
যুক্তরাজ্যের পাঁচটি সেরা ক্যাশব্যাক ব্যাংক একাউন্ট
ইংল্যান্ডের রাজধানীর নাম
ইংল্যান্ড হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অন্যতম শরীক রাষ্ট্র। যুক্তরাজ্যের চারটি শরীক দেশেরই আলাদা রাজধানী ও নিজস্ব সংসদ রয়েছে। তবে সেগুলো স্থানীয়ভাবে প্রশাসনিক কার্য্যক্রম পরিচালনার মধ্যে সীমাবদ্ধ। ইংল্যান্ডের রাজধানীর নাম লন্ডন।
যুক্তরাজ্য ইংল্যান্ডই সৃষ্টি করেছে। সেজন্যই নিজেদের রাজধানীকে যুক্তরাজ্যের অধীন সবগুলো দেশের কেন্দ্রভূমি বা রাজধানী হিসাবে মেনে নিতে বাধ্য করেছে। তাই লন্ডন যুক্তরাজ্য এবং ইংল্যান্ডের রাজধানী।
ইংল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থিত
ইংল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত একটি স্বাধীন দেশ। কিছুদিন আগেও যুক্তরাজ্য এবং এর অধিভূক্ত দেশগুলো ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অংশ ছিল। তবে ব্রেক্সিট বা যুক্তরাজ্যের গণভোটের রায় অনুযায়ী ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারনে তারা এখন ইউরোপ মহাদেশের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।
লন্ডনের মুদ্রার নাম কি
লন্ডনের মুদ্রার নাম পাউন্ড ষ্টার্লিং যা £জিবিপি নামে পরিচিত। এক পাউন্ডের মুদ্রা মান ১০০ পেন্স বা ১০০পি। লন্ডনে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ পাউন্ডের নোট রয়েছে। এছাড়াও আছে বিশ, দশ এবং পাঁচ পাউন্ডের নোট। এক এবং দুই পাউন্ডের কয়েনও এখানে বহুল প্রচলিত।
বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের দূরত্ব
লন্ডন থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব ৭৯৯৭ কিলোমিটার। এক সময় জাহাজে করে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে লম্বা সময় লাগত। ক্ষেত্রবিশেষে এটা ছিল ছয় মাসের মত। আর এখন উড়োজাহাজে করে সহজেই বাংলাদেশ থেকে লন্ডন আসা যায়। সময় লাগে দশ থেকে বাইশ ঘন্টা।
আরও দেখুন:
ইংল্যান্ডের ভয়ংকর কয়েকটি ভূতের বাড়ি
লন্ডন বাস: ভ্রমণে যে ৫টি উপায়ে পাবেন ডিসকাউন্ট টিকেট
লন্ডনের বিখ্যাত পর্তোবেলো রোড মার্কেট