লন্ডনের রাজধানীর নাম কি শুনলে আশ্চর্য হবেন!


লন্ডনের রাজধানীর নাম কি এই প্রশ্নটি প্রায়ই শোনা যায়। একসময় বাংলাদেশ কিংবা ভারতের অনেক গ্রামাঞ্চলে এই রকম কথা মুরুব্বীরা জিজ্ঞেস করতেন। এখনও করেন। কিংবা শহরে-বন্দরে খেটে খাওয়া মানুষদের মুখেও শোনা যায় এই জিঞ্জাসা।

লন্ডনের রাজধানীর নাম কি

আসলে লন্ডনের রাজধানীর নাম কি এই প্রশ্নের মধ্যেই এর উত্তর নিহীত রয়েছে। লন্ডন হচ্ছে একটি দেশের রাজধানী। সেই দেশের নাম ইংল্যান্ড। আবার চারটি দেশটি নিয়ে একটি রাজ্য গঠিত। সেই রাজ্যের নাম যুক্তরাজ্য। কাজেই লন্ডনের রাজধানীর নাম হচ্ছে লন্ডন।

আবার, লন্ডনের রাজধানীর নাম কি এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যে, যুক্তরাজ্যের রাজধানীর নাম লন্ডন। এই শহর নিজেই একটি রাজধানী। এর আর কোন রাজধানী নেই। তাই প্রথমত: প্রশ্নের মধ্যেই আক্ষরিক দুর্বলতা রয়েছে। প্রশ্নটি হওয়া উচিত ছিল লন্ডন কোন দেশের রাজধানী?

প্রশ্নের মধ্যে ভ্রান্তি কিংবা শুদ্ধতা যাই হোক না কেন, লন্ডন একটি বৃহৎ শহর। বিশ্বের অনেক নামীদামী একটি শহর। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশ যখন বৃটিশ রাজ্যের অধীনে ছিল তখন লন্ডন ছিল পুরো বৃটিশ সাম্রাজ্যের রাজধানী। তাই এই শহরের ঐতিহাসিক পটভূমি বিশাল।

সেজন্যই হয়তো এই প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে লন্ডনের রাজধানীর নাম কি? কারন লন্ডন শহর তার নিজের নামের ব্যাপ্তিকে বিশাল এক উচ্ছতায় নিয়ে গেছে। যেখানে ইংল্যান্ড কিংবা যুক্তরাজ্যের চেয়েও মানুষ বেশি চিনে লন্ডনকে। মনে করে লন্ডন একটি দেশ। এবং এই দেশের একটি স্বতন্ত্র রাজধানী রয়েছে।

লন্ডন কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
লন্ডন কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

লন্ডন টেমস নদীর তীরে অবস্থিত। লন্ডন কোন নদীর তীরে অবস্থিত এই প্রশ্নটি বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কিংবা সাধারন জ্ঞানের পরীক্ষায় এটি একটি পরিচিত প্রশ্ন। এর উত্তর অনেকেই জানেন। আবার কেউ কেউ জানেন না। সুতরাং, এখন জেনে নিলেন। আশা করি আর ভুল হবে না।

লন্ডন বেড়াতে এলে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে লন্ডন ব্রিজ কিংবা টাওয়ার ব্রীজ। টেমস নদীর উপর অবস্থিত এই ব্রীজ বিশ্বের অন্যতম পুরনো এবং আকর্ষনীয় ব্রিজ। আগেকার আমলে যখন নৌপথে ব্যবসা বাণিজ্যে চলত তখন বিশালাকার বৃটিশ সাম্রাজ্য থেকে মালবাহী জাহাজ এই টেমস নদী দিয়ে লন্ডনের ভিতরে প্রবেশ করত।

সমস্যা হল জাহাজ যেদিকে চলে সেদিকে ব্রিজ বানানোর মত কারিগরি দক্ষতা কোন দেশেরই ছিল না। কিন্তু আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ লন্ডনের ইন্জিনিয়াররা সেসময়ে এই টাওয়ার ব্রিজ বানাতে সক্ষম হন। এই ব্রিজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জাহাজ কিংবা ষ্টীমার চলাচলের সময় ব্রিজটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে সোজা উপর দিকে উঠে যায়। আবার জাহাজ চলে যাবার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

আরও পড়ুন: লন্ডনে কম খরচে থাকা খাওয়ার জায়গা পাবেন যেখানে