ভ্রমণে সাইট সিয়িং বা পর্যটন বাসে চড়বেন যেসব কারনে


ভ্রমণে পর্যটন বা সাইট সিয়িং বাস বিশ্বের প্রায় সব বড় বড় শহরেই রয়েছে। এগুলোতে ভ্রমন অনেকেরই পছন্দ। গাইড সুবিধা পাওয়া যায়। অপরিচিত কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করার বিড়ম্বনা নেই। দৃষ্টিনন্দন বাস। স্মার্ট চালক। তার চেয়েও স্মার্ট কিংবা সুদর্শন কাউকে পাবেন গাইড হিসাবে। নির্দিষ্ট পরিমান টাকায় অনেক শহরেই আছে চব্বিশ ঘন্টা উঠানামা করা যায় এরকম বাস সার্ভিস। ভ্রমণে আপনার অভিজ্ঞতা আনন্দময় করে তোলার জন্য নিশ্চয়ই এসব ট্যুরিষ্ট বা পর্যটন বাসে চড়ার সুযোগ হারাবেন না।

ভ্রমণে সাইট সিয়িং বা পর্যটন বাসে চড়বেন যেসব কারনে

কী কী দেখবেন ট্যুরিষ্ট বাসে?

যেসব আকর্ষণীয় স্থান আপনার অবশ্যই দেখা উচিত সেগুলোই দেখবেন। সবগুলো শহরেই আছে বিভিন্ন ট্যুরিজম কোম্পানী। তাদের নির্দিষ্ঠ প্যাকেজ আছে। এসব প্যাকেজের বিজ্ঞাপনে আপনি পাবেন কী কী দেখানোর জন্য তারা আয়োজন করেছে। সাধারনত কিছু জাদুঘর, পুরনো প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন, শহরের বৈশিষ্ট্য ধারন করে এরকম এলাকা, সাগর কিংবা নদী তীর, মার্কেট, শহরের পুরনো স্থান কিংবা নতুন টাউন ইত্যাদি। এসব শুধুই একটি গাইড লাইন। যেকোন নতুন এলাকায় গেলে সে স্থান সম্বন্ধে যদি আপনার পূর্ব ধারনা থাকে তাহলে ভ্রমণ আনন্দময় করে তোলাটা অনেকটাই সহজ হয়ে আসে।

ট্যুরিষ্ট বাসের খরচ কী রকম?

পর্যটন বাসগুলোর খরচ নির্ভর করে একটি নির্দিষ্ট এলাকার চাহিদা ও জীবনমানের উপর। ভারতের কাশ্মীর আর সুইজারল্যান্ডের জেনেভার খরচ নিশ্চয়ই এক রকম হবে না। তবে যেসব এলাকায় ট্যুরিষ্ট সমাগম বেশি সেখানে বিভিন্ন রকম পছন্দ থাকে। এটা অবশ্য নির্দিষ্ট পর্যটন কোম্পানী প্যাকেজের সাথে সম্পর্কিত। সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানীর অফারগুলোর একটি তুলনামুলক বিশ্লেষণ করা। এর মাধ্যমে আপনার ভ্রমণ ব্যয়ের বাজেট সম্বন্ধেও একটি ধারনা পেয়ে যাবেন।

ভ্রমণে সাইট সিয়িং বা পর্যটন বাসে চড়বেন যেসব কারনে

ট্যুরিষ্ট বাসে চড়ার সুবিধাসমুহ:

পর্যটন বাসে চড়ার সুবিধাসমুহ বলে শেষ করা যাবে না। যেকোন নতুন শহরে আপনি রেন্ট এ কার, উবার কিংবা টেক্সী নিয়ে ভ্রমন করলে খরচ পড়বে অনেক বেশি। অপরিচিত লোকের সাথে নতুন এলাকায় ভ্রমণে অনেক অনিশ্চয়তা থাকে। পর্যটন কোম্পানীগুলো এক্ষেত্রে অনেকটাই স্বচ্ছ এবং ঝামেলামুক্ত। শিক্ষিত গাইড, অডিও বর্ণনা (যেখানে প্রজোয্য), প্রয়োজনীয় লিফলেট, স্যুভেনির সংগ্রহের দোকান থেকে কেনাকাটা, ভাল রেষ্টুরেন্টে খাবারের আয়োজন সবই পাবেন। এছাড়াও হয়তো পাবেন বিভিন্ন প্রদর্শনীতে ঢুঁ মারার সুযোগ।

ট্যুরিষ্ট বাসে চড়ার সাধারন কিছু অসুবিধাসমূহ:

অনেক সুবিধার মাঝেও পর্যটন বাসগুলোতে ভ্রমণের আগে সাধারন কিছু বিষয় আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। পরিবার নিয়ে এসব বাসে বেড়াতে গেলে কিছুটা প্রাইভেসীর সমস্যা হয়। এশিয়ান দেশগুলোতে এই সমস্যা বেশি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কেনাকাটা করার জন্য হয়তো বাসের গাইড কিংবা অন্য কেউ আপনাকে প্রলুব্ধ করছে। আপনি হয়তো দামে কিছুটা ঠকতে পারেন। মনে রাখবেন আপনি যা কিছুই খাবেন কিংবা কিনবেন তাতে সেই পর্যটন কোম্পানীর একটি কমিশন আছে।

ভ্রমণে সাইট সিয়িং বা পর্যটন বাসে চড়বেন যেসব কারনে

 

আরো পড়ুন : ভ্রমণ:ইংল্যান্ডের লেক ডিস্ট্রিক্টের অপরূপ নিসর্গে এক ভারতীয় দম্পতি

টাউট বাটপারদের এড়িয়ে চলুন:

ট্যুরিষ্ট এলাকাগুলোতে অনেক প্রতারকদের আনাগোনা থাকে। এ সমস্যা বিশ্বের অনেক দেশেই প্রকট। আমেরিকার মত বিশ্বের অতি উন্নত দেশেও টাউটদের আনাগোনা অনেক বেশি। আবার দিল্লী, ব্যাংকক কিংবা কুয়ালালামপুর এসব শহরে ঠক বাছতে গা উজাড় হয়ে যাবে। তবে একটু সতর্ক হয়ে চললে অনেক সমস্যাই উপেক্ষা করা যায়। কেউ যেচে পড়ে কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে কিংবা সাহায্য করতে চাইলে তা উপেক্ষা করুন ভদ্রভাবে। তাদের সাথে মেজাজ দেখিয়ে লাভ হবে না। এরা অনেক চতুর এবং ধূর্ত। লোক ঠকানোতে ওস্তাদ। মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা আদায়টাই ওদের পেশা। এসব মেনে নিয়েই ভ্রমণ করুন।