পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো বিশ্বের ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে সেরা পছন্দের গন্তব্য। এইসব দেশের জিডিপির বড় একটা অংশ আসে পর্যটন থেকে। তাই এসব দেশকে পর্যটন স্বর্গ বলা যায়। লিখেছেন দুই বাংলার অন্যতম সেরা ভ্রমন লেখক লিয়াকত হোসেন খোকন।
Table of Contents
- টাওয়ার ব্রিজের কাছেই বিখ্যাত টাওয়ার অফ লন্ডন ক্যাসেল ও মিউজিয়াম। শহরের মধ্যে পিকাডিলি সার্কাস স্কোয়্যার, লন্ডন রেলস্টেশন, হাউড পার্ক, গ্রিন পার্ক, অক্সফোর্ড শপিং স্ট্রিট, ওয়েস্টমিনস্টার ক্যাথিড্রাৱ, সেন্ট মার্গারেট চার্চ, ট্রাফালগার স্কোয়্যার, মাদাম তুসো মিউজিয়াম দেখে নিন।
- সাজানো গোছানো এই শহরের মধ্য দিয়ে একাধিক খাল বয়ে চলেছে। প্রতিটি খালের জল স্বচ্ছ – খালের পারে নেই কোনো ধরনের দখলদারিত্ব। ওখানের মানুষ খ্রিস্টান বলে তারা কোনো ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নয়।
- নেদারল্যান্ডসের গ্রামের মধ্যে প্রাচীন উইন্ডমিল, ব্যাকওয়াটার ক্যানেল, চিজ ফার্ম, ক্লগ শু ফ্যাক্টরি ইত্যাদিও ঘুরে দেখে নিতে পারেন।
- ব্রাসেলস বেড়িয়ে এবার আসুন প্যারিস। চার ঘন্টার যাত্রাপথ। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পর্যটকদের ঢল নামে। প্যারিসের সিটি ট্যুরে দেখবেন আইফেল টাওয়ার। লিফটে করে উঠে পড়ুন ওপরে। রাতে আইফেল টাওয়ার আলোকমালায় সাজে। শহরের ল্যুভর মিউজিয়াম অবশ্য দ্রষ্টব্য।
- সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ শেষে পরের দিন এঞ্জেলবার্গ থেকে যাত্রা করুন ইতালির পথে। প্রথমে যাবেন পিসা। যেতে সময় লাগবে ৭ ঘন্টা। পথে পেরোতে হবে সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত গোথার্ড টানেল। এ টানেলটি ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ।
- রোম শহরের মধ্য দিয়ে বইছে টিবের নদী। রোমের অন্যতম আকর্ষণ – কলোসিয়াম। রোমে দুই কি তিন থাকলে ভালো ভাবে শহর ঘোরাঘুরি করা যাবে। রোম শহরের একাংশে রয়েছে ভ্যাটিকান সিটি। নামে সিটি হলেও এটি আসলে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ।
পশ্চিম ইউরোপের জনপ্রিয় ভ্রমণ সার্কিটে বেড়াবেন ৯টি দেশে। দেশগুলো হল ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ভ্যাটিকান সিটি, সুইজারল্যান্ড ও অষ্ট্রিয়া। এই দেশগুলির প্রধান পর্যটন কেন্দ্রগুলি ১৬ কিম্বা ১৮ দিনের ট্যুরে দেখে নিতে পারেন।
এজন্য প্রথমে ঢাকা থেকে বিমানে দুবাই বা দোহা পৌঁছাতে হবে। বিমান বদলিয়ে প্রথমে যাবেন ইউরোপের লন্ডন শহরে। লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে নামার পরে মেট্রোরেল ধরে শহরের যে কোনো প্রান্তে যেতে পারবেন। বাসও আছে লন্ডনে। লন্ডনের প্রধান দ্রষ্টব্যগুলি দেখতে পুরো দু’দিন লেগে যাবে। দোতলা টুরিস্ট বাসে চেপেও লন্ডন শহর ঘুরে দেখা যায়।
শহরের মধ্য দিয়ে বইছে টেমস নদী। নদীর ধারে রয়েছে হাউস অফ পার্লামেন্ট। এর পাশেই ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে, বিগবেন। নদীর তীরে লন্ডনের আই নাগরদোলায় অবশ্যই উঠবেন। নদীর ওপর বিখ্যাত ব্রিজগুলি যেমন টাওয়ার ব্রিজ, ল্যামবেথ ব্রিজ দেখবেন।
টাওয়ার ব্রিজের কাছেই বিখ্যাত টাওয়ার অফ লন্ডন ক্যাসেল ও মিউজিয়াম। শহরের মধ্যে পিকাডিলি সার্কাস স্কোয়্যার, লন্ডন রেলস্টেশন, হাউড পার্ক, গ্রিন পার্ক, অক্সফোর্ড শপিং স্ট্রিট, ওয়েস্টমিনস্টার ক্যাথিড্রাৱ, সেন্ট মার্গারেট চার্চ, ট্রাফালগার স্কোয়্যার, মাদাম তুসো মিউজিয়াম দেখে নিন।
লন্ডন শহরের মুখ্য আকর্ষণ বাকিংহাম প্যালেস বা প্রাসাদ। ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের বাসস্থান এটি। এবার লন্ডন থেকে চলুন ৯০ মাইল দূরের স্ট্যাটফোর্ড আপন অ্যাভনে। শেক্সপিয়ারের জন্মস্থান দেখতে ভুলে যাবেন না কিন্তু।
এবার লন্ডন থেকে যাত্রা করুন উত্তর সাগরের ধারে হারউইকে। এখান থেকে উঠুন বিলাসবহুল জাহাজে। সারা রাতের সাগরযাত্রার শেষে ভোরে পৌঁছবেন নেদারল্যান্ডসে হুক অব হল্যান্ড বন্দরে। এরপর বাকি সফরটায় বাসে চড়েই ঘুরতে হবে এখান থেকে। এখান থেকে দেখতে চলুন দেশের রাজধানী আমস্টারডাম।
সাজানো গোছানো এই শহরের মধ্য দিয়ে একাধিক খাল বয়ে চলেছে। প্রতিটি খালের জল স্বচ্ছ – খালের পারে নেই কোনো ধরনের দখলদারিত্ব। ওখানের মানুষ খ্রিস্টান বলে তারা কোনো ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নয়।
এখানের প্রতিটি খাল থেকে টুরিস্ট বোট বা নৌকা চলে। তা দেখে আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে, ‘নদী -খালের দেশ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার খালগুলি ও এর আশপাশ দখল কেন? বুড়িগঙ্গা দুষিত কেন? আমরা মুসলমান বলেই কি আমাদের মধ্যে যতসব খারাপ বুদ্ধিসুদ্ধি?’
আমস্টারডাম শহরের খালপথে নৌকায় চড়ে শহর ঘুরে দেখে নিন।
নেদারল্যান্ডসের গ্রামের মধ্যে প্রাচীন উইন্ডমিল, ব্যাকওয়াটার ক্যানেল, চিজ ফার্ম, ক্লগ শু ফ্যাক্টরি ইত্যাদিও ঘুরে দেখে নিতে পারেন।
আমস্টারডাম শহরের কেন্দ্রে রয়েছে ড্যাম স্কোয়্যার। এখানে পর্যটকদের ভিড় বেশি। প্রাচীন চার্চ, ওয়ার মেমোরিয়াল, রয়্যাল প্যালেস, ভ্যান গখ মিউজিয়াম রয়েছে এই চত্বরেই। দেখে নিন অ্যানা ফ্রাঙ্কের বাড়িটিও। নেদারল্যান্ডসের পাশের শহর হেগে রয়েছে ডিউরোডাম মিনিয়েচার সিটি। খোলা আকাশের নীচে আমস্টারডাম শহরের মডেল বানানো হয়েছে নিখুঁতভাবে। এটি জনপ্রিয় দ্রষ্টব্য। নেদারল্যান্ডসে এক রাত কাটিয়ে পরের দিন যাবেন বেলজিয়াম দেশের রাজধানী ব্রাসেলসে। এই শহর আবার ইউরোপ ইউনিয়নের হেড কোয়ার্টার।
আমস্টারডাম শহর থেকে যেতে ২ ঘন্টা সময় লাগবে। শহরে পৌঁছে দেখুন আধুনিক স্থাপত্যের অনবদ্য নিদর্শন অটোমিয়াম। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অফিস রয়েছে এখানে। শহরের পুরনো অংশে রয়েছে গ্র্যান্ড প্যালেস। এখানে মিউজিয়াম রয়েছে। দেখে নিন বিখ্যাত ম্যানিকেন পিস মূর্তি। ভুলে যাবেন না বেলজিয়ামের চকোলেট খেতে। এখানের চকোলেট খুব সুস্বাদু।
ব্রাসেলস বেড়িয়ে এবার আসুন প্যারিস। চার ঘন্টার যাত্রাপথ। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পর্যটকদের ঢল নামে। প্যারিসের সিটি ট্যুরে দেখবেন আইফেল টাওয়ার। লিফটে করে উঠে পড়ুন ওপরে। রাতে আইফেল টাওয়ার আলোকমালায় সাজে। শহরের ল্যুভর মিউজিয়াম অবশ্য দ্রষ্টব্য।
এখানেই রয়েছে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা মোনালিসার ছবি। শহরের অন্যান্য দ্রষ্টব্য – নটরডেম চার্চ, ইউনিভার্সিটি, রয়্যাল গার্ডেন। সেন নদীতে রিভার ক্রুইজ করতে পারেন। রাতের আলোকোজ্জ্বল প্যারিসকে মোহময়ী লাগে। প্যারিসে রয়েছে ইউরো ডিজনি থিম পার্ক।
প্যারিসের পর চলুন জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট ড্রুবা শহরে। এখানে আসতে ৬ ঘন্টা সময় লাগবে। এর কাছেই ব্ল্যাক ফরেস্ট লাগোয়া তিতিসি গ্রাম আর হ্রদ। এই অঞ্চলটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরানো দায়। এখানে রয়েছে কাক্কু ক্লকের অনেক দোকান। তিতিসি হ্রদে বোটিং করা যায়। লফিনগেন অঞ্চলে ব্ল্যাক ফরেস্টের গায়ে রিসোর্টে থাকতে পারেন।
পাহাড়, উপত্যকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে এই অরণ্য। ব্ল্যাক ফরেস্ট বেড়িয়ে পরদিন রওনা দিন সুইজারল্যান্ডের দিকে। আল্পস পাহাড়ের কোলে স্বপ্নের দেশ সুইজারল্যান্ডে প্রবেশ করে যাত্রাপথে দেখবেন স্যাফাউসেন ও রাইন নদীর জলপ্রপাত। নদীর জলে বোটিং করে জলপ্রপাতের কাছে যাওয়া যায়। রাইন জলপ্রপাত দেখে পৌঁছবেন লুসার্ন শহরে। সুইজারল্যান্ডের এই শহরটির অবস্থান লুসার্ন হ্রদের গায়ে। চমৎকার ছোট্ট শহর। এখানে পায়ে হেঁটে হেঁটে দেখে নিন লুসার্ন হ্রদ, চ্যাপেল ব্রিজ, লায়ন মনুমেন্ট, চার্চ, সুইস ওয়াচ শোরুম।
লুসার্ন থেকে ১ ঘন্টার বাসযাত্রার শেষে পৌঁছান আল্পসের পাদদেশে ছবির মতো গ্রাম এঞ্জেলবার্গে। এখানে পৌঁছে সেদিনই কেবলকারে চেপে উঠে পড়ুন মাউন্ট তিতলিস পাহাড়চূড়ায়। ওপরে বরফের দুনিয়া। সেখানে রয়েছে গ্লেসিয়ার গ্রোটো আইস কেভ, রেস্তোরাঁ, ভিউ পয়েন্ট, স্নো ব্রিজ, আইস ফ্লায়ার। ওপর থেকে আল্পস পর্বতমালাকে দেখতে দারুণ লাগে। দেখা যায় একাধিক পাহাড়চূড়া।
এঞ্জেলবার্গ গঞ্জের মধ্যে সুন্দর চার্চ, ছোট লেক রয়েছে। রয়েছে রেলস্টেশন। এখানে এক রাত কাটাতে দারুণ লাগবে। এখানের বাড়িঘর কাঠের বাংলো ধাঁচের। সব বাড়িতেই ফুলের বাগান। সবই সাজানো গোছানো। পরের দিন সকাল সকাল রওনা দিন সুইজারল্যান্ডের ছবির মতো সুন্দর আরেকটি জনপদ ইন্টারলাকেনের পথে। পাহাড় ঘুরে পথ গিয়েছে দু’টি হ্রদের মাঝে গড়ে ওঠা ইন্টারলাকেনে।
অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা এখানে ভিড় জমায় ট্রেকিং, হাইকিং, প্যারাসেইলিংয়ের জন্য। এঞ্জেলবার্গ থেকে ঘন্টা দেড়েক সময় লাগবে এখানে আসতে। ইন্টারলাকেন বেড়িয়ে আধঘন্টা মধ্যে পৌঁছবেন পাহাড়ের কোলে ছোট্ট নিরালা গ্রাম গ্রিন্ডেলওয়াল্ড গ্রুনডে। এখান থেকে খুব কাছে হিমশিখর। পাহাড়ি নদী বইছে গ্রামের গা দিয়ে। এখানে বাস থেকে নেমে ট্রেনে চাপতে হবে। পাহাড়ের গা দিয়ে আধঘন্টার ট্রেনযাত্রার শেষে নামতে হবে ক্লেইনেসেলডেগে। পাহাড়ের ওপরে এই স্টেশন। হাত বাড়ালেই পাহাড় চূড়া। এখানে আবার ট্রেন বদল করতে হবে। চাপবেন রেক রেলের ছোট ট্রেনে। এটি শতাধিক বছরের পুরনো রেলপথ। গন্তব্য ইয়ুংফ্রাউ। এক ঘন্টার ট্রেন সফর। আল্পসের সর্বোচ্চ চূড়া ইয়ুংফ্রাউ পৌঁছে দেখুন পিকস ভিউ, ইয়ংফ্রাউ প্যানোরমা, অ্যালপাইন সেনসেশন, স্কিইং, আইস প্যালেস কেভ। চারপাশে বরফের দুনিয়া। বরফ মাঠে ঘুরতে পারেন। সারাদিন ইয়ুংফ্রাউ বেড়িয়ে এঞ্জেলবার্গে ফিরে আসুন।
সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ শেষে পরের দিন এঞ্জেলবার্গ থেকে যাত্রা করুন ইতালির পথে। প্রথমে যাবেন পিসা। যেতে সময় লাগবে ৭ ঘন্টা। পথে পেরোতে হবে সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত গোথার্ড টানেল। এ টানেলটি ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ।
এই পথে ইতালির বিখ্যাত মার্বেল পাথরের পাহাড় রয়েছে। ইতালির ঐতিহাসিক শহর পিসারে দেখবেন – হেলানো মিনার, চার্চ, টাওয়ার, মিউজিয়াম। পিসাতে অর্ন নদী বয়ে চলেছে আপন গতিতে। সেখানে কেউ দখলবাজি করে না। নদী, চর, নদীর পার্শ্ব দখল করে না।
কারণ, সে দেশের মানুষ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
পিসা থেকে পরের দিন যাত্রা করুন রোম।
পিসা থেকে রোমে যাওয়ার পথে দেখে নিন ইতালির ফ্লোরেন্স শহরের দ্রষ্টব্যগুলি। পিসা থেকে ২ ঘন্টা সময় লাগবে ফ্লোরেন্স যেতে। শহরের মধ্যে পায়ে হেঁটে দেখে নিন পুরনো শহর, সান্তা মারিয়া ক্যাথিড্রাল, ব্যাপটিস্ট্রি, গোল্ডেন ডোর অব প্যারাডাইস, ডেলা সিগনোরিয়া পিয়াজা, গ্যালিলেও টম্ব, স্ট্যাচু অব ডেভিড, অর্ন নদীর বিখ্যাত ব্রিজ পন্টে ভেসিও প্রভৃতি।
পুরনো শহরের মূল চত্বরে রয়েছে পাথরের তৈরি প্রচুর মূর্তি, ফোয়ারা। ঘন্টাতিনেক শহর ঘুরে চলুন ইতালির বিখ্যাত প্রাচীন শহর রোমে। ৩ ঘন্টার যাত্রাপথ। ইতিহাস প্রসিদ্ধ এই রোম শহরে দেখবেন – ট্রেভি ফাউন্টেন, পিয়াজা ভেনিসিয়া, ওল্ড সিটি, ক্যাপিটাল স্কোয়্যার, ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্টস হাউস।
রোম শহরের মধ্য দিয়ে বইছে টিবের নদী। রোমের অন্যতম আকর্ষণ – কলোসিয়াম। রোমে দুই কি তিন থাকলে ভালো ভাবে শহর ঘোরাঘুরি করা যাবে। রোম শহরের একাংশে রয়েছে ভ্যাটিকান সিটি। নামে সিটি হলেও এটি আসলে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ।
খ্রিস্টধর্মের মূল কেন্দ্র ভ্যাটিকান সিটিতে। এখানে দেখবেন – পোপের বাড়ি, সেন্ট পিটারস স্কোয়্যার, সিসটিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকা চার্চ। এখানে রয়েছে মাইকেল অ্যাঞ্জোলার তৈরি বিখ্যাত পিয়েতা মূর্তি।
ভ্যাটিকান সিটি বেড়িয়ে এবার যাবেন ইতালির ব্যাকওয়াটারের জগৎ ভেনিস। চার ঘন্টার যাত্রাপথ। এখানে রাত কাটাবেন ভেনিসের লাগোয়া পাডোভা শহরে। পরের দিন ১ ঘন্টায় পৌঁছবেন ট্রনচেটো বন্দরে। সেখান থেকে লঞ্চে চেপে আধঘন্টার জলযাত্রায় ভেনিসে গিয়ে পৌঁছবেন। ভেনিসের জেটির নাম সানমার্কো। এই জলজগতের মাঝে দ্বীপখন্ডে গড়ে উঠেছে ভেনিস শহর। জলপথেই শহরের মধ্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা। অবশ্যই চড়বেন রোমান্টিক গন্ডোলা নৌকায়। ভেনিসে দেখুন সেন্ট মার্কস স্কোয়্যার, ডগেস প্যালেস, সাই ব্রিজ, মুরানো গ্লাস রুম।
ভেনিস থেকে এবার চলুন অষ্ট্রিয়ার ইন্সব্রুকে। ইউরোপের অন্যতম সুন্দর পাহাড়ি দেশ অষ্ট্রিয়া। ভেনিস থেকে পৌঁছতে চার ঘন্টা লাগবে। অষ্ট্রিয়া দেশটাও আল্পস পর্বতমালায় ঘেরা। ইন্সব্রুক শহরে দেখবেন – গোল্ডেন রুফ প্যালেস, হফবার্গ প্যালেস, চার্চ, হফবার্গ গার্ডেন প্রভৃতি। এগুলি হেঁটেই দেখে নেওয়া যাবে। রাত কাটাতে পারেন ওবস্টেক পাহাড়ি গ্রামে। অপূর্ব সুন্দর জায়গা। অষ্ট্রিয়ায় পরের দ্রষ্টব্য – ওয়াটেন্সের সোয়ারোভস্কি ক্রিস্টাল ওয়ার্ল্ড। এখানকার ক্রিস্টাল মিউজিয়াম ও শোরুমটি দেখার মতো।
এরপর আবার প্রবেশ করবেন জার্মানিতে। ঘন্টাদুয়েকের যাত্রাপথের শেষে পৌঁছবেন জার্মানির মিউনিখ শহরে। এখানে দেখবেন – অলিম্পিক পার্ক, নিমফেনবার্গ প্রাসাদ, মেরিয়েনপ্লাৎস স্কোয়্যার। মিউনিখে এক রাত কাটিয়ে সেখান থেকে বিমানে দোহা বা দুবাই হয়ে ঢাকা ফিরে আসুন। ঢাকায় আবার এসে দেখবেন চারিদিকে ময়লারস্তূপ, ওখানে দখল, সেখানে খাল দখল, রাস্তা দখল করে হাটবাজার বসে গেছে। যে যার ইচ্ছে মতো রাস্তাঘাটে কফ, থুথু ফেলছে। আবার কেউবা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব ছেড়ে দিচ্ছে।