তিব্বত কোন দেশের অংশ জানলে অবাক হবেন


তিব্বত কোন দেশের অংশ জানেন কী?  তিব্বত শিচাং গনচীনের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত এই অঞ্চলটি তিব্বতের জনগোষ্ঠীর প্রধান আবশ্যস্থল। তিব্বতি ও মালভূমির গড় উচ্চতা ১৬ হাজার ফুট যার কারণে তিব্বতকে পৃথিবীর ছাদ বলা হয়। তবে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে তিব্বত কোন দেশের অংশ এই সম্পর্কে ও অতীবত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাকে পূর্ণাঙ্গ আকারে জানাবো।

তিব্বত কি স্বাধীন দেশ

তিব্বত ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে ত্রয়োদশ দলাই লামা ভারত থেকে যাত্রা শুরু করে লাসা শহরে প্রবেশ করে ১২ ই ফেব্রুয়ারি চীনের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে তিব্বতকে তৎকালীন সময়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয় তিব্বতকে। তবে এটি ১৯৫১ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং ১৯৫১ সালে তিব্বত চীনের অধীনে একটি স্বয়ংশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়। সহজ অর্থে তিব্বত বর্তমানে স্বাধীন রাষ্ট্র নয়।

তিব্বত কোন দেশের অংশ

তিব্বত বর্তমান সময়ে গণচিনের অধীনে একটি স্বয়ং শাসিত অঞ্চল। পূর্ণাঙ্গ অর্থে, তিব্বত শিচাং গনচীনের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। মধ্য এসে অবস্থিত এই অঞ্চলটি তিব্বতের জনগোষ্ঠীর প্রধান আবশ্যস্থল। তিব্বতি ও মালভূমির গড় উচ্চতা ১৬ হাজার (১৬,০০০) ফুট যার কারণে তিব্বতকে পৃথিবীর ছাদ বলা হয়।

তিব্বত কোন দেশের রাজধানী

তিব্বত কোন দেশের রাজধানী নয় বরং এটি কোন চীনের অধীনে স্বয়ং শাসিত অঞ্চল। তবে তিব্বতের সবচেয়ে বড় শহরের নাম লাসা। লাসাকে তিব্বতের প্রশাসনিক ও ধর্মীয় রাজধানী বলা হয় বলা হয়।

তিব্বত কোন দেশের অংশ

তিব্বত কেন নিষিদ্ধ শহর

তিব্বত নিষিদ্ধ হওয়ার পিছনে কোন দেশের হস্তক্ষেপ কিংবা কোন রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেই বরং তিব্বত নিষিদ্ধ হওয়ার পিছনে প্রধান কারণ নদীব্যাতে প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং তিব্বতের বসবাসকারী বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা। বিশেষজ্ঞদের অনুসন্ধান অনুযায়ী বছরের প্রায় আট মাস তিব্বত বরফের ঢাকা থাকে এ কারণে তিব্বতকে দুর্গম স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাছাড়া প্রচন্ড ঠান্ডার ও উচ্চতার বসবাস করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

সহজ কথায় বলা হলে তিব্বতের অদ্ভুত সংস্কৃতি ও তাদের পরিবেশ, আবহাওয়া ইত্যাদির কারণে তিব্বত নিষিদ্ধ দেশের তালিকায় তালিকাভুক্ত হয়েছে। তবে ১৯৮০ সালে তিব্বতে নিষে থাকা তুলে দেওয়া হয়।

তিব্বতের আয়তন কত

তিব্বতের আয়তন ১২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার,যা বর্গমাইল হিসেবে চার লক্ষ ৬০ হাজার বর্গমাইল। তিব্বত ১২ লক্ষ বর্গমাইল অঞ্চল নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল যা চিনেরে জিং জিয়াও অঞ্চলের পর দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। এমনকি তিব্বত পার্বত্য এবং দুর্গম পরিবেশের অঞ্চল হওয়ার জন্য চীনের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল বলা হয় তিব্বতকে।

তিব্বতে ভ্রমণ করা কি সম্ভব?

তিব্বত সাধারণত পর্বত ও বরফে ঢাকা একটি অঞ্চল। বছরের বারো মাসের প্রায় আট মাস তিব্বত বরফের ঢাকা থাকে যার কারণে তিব্বত অত্যন্ত দুর্গম একটি অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়া তিব্বতে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রা আমাদের দেশের মানুষের জীবনযাত্রা থেকে অত্যন্ত পৃথক। তবে আপনি যদি তিব্বতে ভ্রমণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে চীনের ভিসা থাকতে হবে। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিব্বতে বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল যার কারণে তৎকালীন সময়ে তিব্বত নিষিদ্ধ নগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

তিব্বত নিয়ে কিছু কথা

তিব্বতের বেশ কিছু অঞ্চল পৃথিবীর উচ্চতম স্থান স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে যার কারনে তিব্বতের প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনেক। এ ছাড়া তিব্বতের কাছাকাছি ভ্রমণের মাধ্যমে রোমাঞ্চকর ভ্রমণ অনুভূতি লাভ করা যায়। প্রত্যাশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে “তিব্বত কোন দেশের অংশ ও তিব্বত সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পেরেছি “। আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।

এ বিষয়ে আরও পড়ুন: নাগাল্যান্ডের ধর্ম

তিব্বত: দূর্গম প্রকৃতির রহস্যময় এক দেশ