এগারবার তাজমহল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন দুই বাংলার অন্যতম সেরা ভ্রমণ এবং চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখক লিয়াকত হোসেন খোকন।
এগারোবার আগ্রায় গিয়ে তাজমহল দেখার পরও আমার সাধ মেটেনি। মনে মনে ভাবি , আবার ছুটে যাই। কিন্তু তাতো সম্ভব নয়। দুঃখ আমার , কেন জন্ম হলো না তাজমহলের নগরীতে !!
তবু ১১বার তাজমহল দেখা- এতো কম ভাগ্যের কথা নয়। আমার কাছে মনে হয় আগ্রা তাজমহলের নগরী। এই তাজমহলের টানে আগ্রায় গেলেই হোটেল ছেড়ে সকালে বিকেলে ছুটে যেতাম তাজমহলে।
একবার জয়পুর থেকে আগ্রায় পৌঁছাতে বিকেল চারটে বেজে গেল। সঙ্গে ছিল আমার ছেলে অলি শাহরিয়ার হাসান। ঈদগাহ রোডে বাস রাখতেই রাস্তার অপর পাশে গেলাম এক হোটেলে। সেখানে লাগেজ রেখেই স্কুটার ভাড়া করে ছুটলাম তাজমহলের দিকে।
আগ্রা থেকে ১২ মিনিট পরে এসে পৌঁছালাম তাজমহলের কাছে। টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম তাজমহল দেখতে। দেখি অসংখ্য ট্যুরিস্টের ভীড়। শুধু ভারতীয় নয়, ইউরোপ, আমেরিকা থেকেও দলে দলে ভীড় করেছে ট্যুরিস্টরা।
সবারই উদ্দেশ্য তাজমহল দেখা। জুতা রেখে সিঁড়ি বেয়ে উঠলাম তাজমহলে। রোদের তাপে ফ্লোর এতোই গরম ছিল যে পা পর্যন্ত— রাখতে পারছিলাম না। মনে হলো পা যেনো পুড়ে যাচ্ছে। ভাবলাম, তাতে কী- তাজমহল তো আবারও দেখছি। ভাবলাম, মোগল সম্রাট শাহজাহানের অমর কীর্তি ‘তাজমহল’ সৃষ্টির কথা।
সম্রাট তাঁর স্ত্রী বেগম মমতাজের সমাধির ওপর তৈরি করান প্রেমের এই সৌধ। শ্বেত মর্মরের এই সৌধটি আজ ভুবন বিখ্যাত। ওখানে পরিচয় হলো এক বাঙালি ট্যুরিস্টের সঙ্গে। উনি থাকেন লক্ষনৌতে। বয়স প্রায় সত্তর।তিনি জানালেন, এ নিয়ে তিনি তাজমহলে ৫০ বার এসেছেন।
তিনি আর যা যা বললেন তা এবার তার মুখেই শোনা যাক ঃ –
অক্টোবরের প্রথম দিকে পূর্ণিমাতে তাজ যেন সজীব হয়ে ওঠে। তখন তাজ দেখার জন্য ছুটে আসি আগ্রাতে। জানেন, পূর্ণিমার রাতে নক্ষত্র আলোকিত রাতে বা উষাকালে তাজের সৌন্দর্য দেখার স্মৃতি আজও যে ক্ষণে ক্ষণে জেগে ওঠে। দুগ্ধধবল রূপালি রঙ নেয় উষায়, রূপালি থেকে গোলাপি-লালে।
চাঁদের আলোয় মনে হবে পরীর দেশের জাহাজ ভাসছে যমুনার জলে …।
আমার কাছে কিন্তু তাই-ই মনে হয়েছিল। কথাগুলো শুনে মুগ্ধ না হয়ে কী পারা যায়। ওই ট্যুরিস্টের সঙ্গে বেশ সখ্য হলো। তার নাম মুনির খান। দূর সম্পর্কে তিনি কণ্ঠশিল্পী তালাত মাহমুদের আত্মীয়ও হন।
মুনির খান কথায় কথায় বললেন, বাংলার মেয়ে আরজুমান বানু উত্তরকালে ভারত সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় স্ত্রী হয়েছিলেন। এই আরজুমান বানুর নামই হলো ‘বেগম মমতাজ’। ১৭ বছরের বিবাহিত জীবনে ১৪তম সন্তানের জননী হতে গিয়ে ৩৮ বছর বয়সে ১৬৩১ সালের ১৭ জুন মারা যান তিনি।
মৃত্যুর ৬ মাস পরে স্থানান্তরিত হন বুরহানপুরের সাময়িক সমাধি থেকে আগ্রায়। মমতাজের মৃত্যুর এক বছর পর তাজমহল নির্মাণের কাজ শুরু করান শাহজাহান। শেষ হতে লাগে ১৮ বছর। কর্মীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজার। খরচ পড়ে ৪০ লাখ পাউন্ড।
টিটানস নামে এক স্থপতির নকশায় পারস্য থেকে আসা ওস্তাদ ঈশা তৈরি করেন এই তাজ। জনশ্রুতি আছে দ্বিতীয়টি গড়ার ভয়ে নির্মাতার হাত দুটি কেটে চোখও অন্ধ করে দেন সম্রাট শাহজাহান। এসব অজানা কথা শুনে মুনির খানের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
বারবার দেখে যাচ্ছি তাজমহলের ঝলমলে রূপ। লাল বেলে পাথরের তোরণে তাজের প্রবেশ, এখানে উৎকীর্ণ হয়েছে আরবিতে লেখা অনেক কথা। দেখলাম, এখানে আটকোনা ঘররূপী প্রবেশ দ্বারের শিরে ২২টি মিনার।
মুনির খান বললেন, হোটেলে ফিরে যাচ্ছি। কালকে সকালে এলে দেখা পাবেন। ও হ্যাঁ- আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট তথা শহরমুখী পশ্চিমে শাহজাহানের আর এক বেগমের স্মারকরূপী ফতেপুরী মসজিদ রয়েছে। ওখানে যেতে যেনো ভুল না করেন।
তেমনি শহরের পূবের প্রবেশদ্বারের কাছে বেগম শিরহিন্দির সমাধিসৌধ আর দক্ষিণ দ্বারে গেলে দেখবেন মমতাজের সহচরীর স্মারক সৌধ। মনে রাখবেন, প্রতিটি প্রবেশদ্বারই মোগলি স্থাপত্যে অনবদ্য …।
তাজমহলের একটু দূরে গেটের কাছেই দেখলাম তাজ মিউজিয়াম। দূর থেকে তাকিয়ে আছি তাজমহলের দিকে। এখানে প্রশস্ত — বাগিচায় ফোয়ারার সারি বেয়ে দেবদারু ও সাইপ্রাসের ছায়ায় পথ চলে গেছে। ফোয়ারার জলাধারেও দেখা মেলে তাজমহল।
একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। ওয়েটার এসে বললো, কি খাবেন? বললুম চিকেন ফ্রাই সঙ্গে কোল্ড ড্রিংকস দিও। তখনও বারবার মনে পড়ছিল তাজমহলের কথা। শ্বেতপাথরের জালি পর্দার মাঝে দিয়ে আলো এসে পড়ে পাশাপাশি শায়িত সম্রাট শাজাহান ও বেগম মমতাজের কবরে বেসমেন্টে।
বারবার ভাবছি, এটা কি ভাবে সম্ভব! সত্যিই সবই সম্ভব করে গেছেন মোগলরা। আজকে আমরা দেখলাম শ্বেতপাথরের জালি, অথচ অতীতে এখানে ছিল মণি-মাণিক্যখচিত সোনার ঝালর।
তাজমহল কম্বাউন্ড থেকে বেরিয়ে এসে স্কুটার ধরে ফিরলাম হোটেলে। সন্ধ্যা নেমে এসেছে তাই রাতে আর বের হলাম না। একজন গাইড এলেন রাত ৯টায়। তিনি জানালেন, ১৫০১ সালে সিকান্দর লোদীর রাজধানী হয় প্রথমে এই আগ্রায়। আবার বাবর দখল করেন ১৫২৬ সালে।
তবে বাবরের পৌত্র আকবরের হাতেই আগ্রার সমৃদ্ধি ঘটে। জাহাঙ্গীরের আমলে আগ্রাই ছিল রাজধানী। এরপরে শাহজাহান আগ্রা দুর্গে একাধিক সুদৃশ্য হর্মসহ তাজমহল নির্মাণ করেন। ১৬৫৮ সালে অসুস্থ অবস্থায় রাজ্যচ্যুৎ হয়ে পুত্র আওরঙ্গজেবের হাতে বন্দি থাকেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত— আগ্রা দুর্গে।
১৬৬৬ সালে বৃদ্ধ বন্দি সম্রাট শাজাহান ৭৪ বছর বয়সে তাজের দিকে তাকিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আগ্রা লালদুর্গে।
গাইডের পরামর্শ অনুযায়ী পরদিন তার সঙ্গে রওয়ানা দিলাম সিকান্দ্রায়। আগ্রা থেকে সিকান্দ্রার দূরত্ব ১০ কিমি উত্তরে। এখানে গিয়ে দেখলাম আকবরের সমাধিসৌধ।
৯৯ ধর্মমতের দেবতাদের নাম উৎকীর্ণ হয়েছে এই সমাধিগাত্রে। আকবরের হাতে এর নির্মাণ শুরু – সম্পূর্ণতা পায় পুত্র জাহাঙ্গীরের হাতে ১৭১৩ সালে। আকবরের সমাধি সৌধ দেখে এবার গেলাম মরিয়মের সমাধি দেখতে।
মরিয়ম হলেন সম্রাট আকবরের গোয়ানিজ বেগম। এই সমাধি সৌধের চারপাশে দেখলাম ফুলের বাগিচা। বিকেলে গেলাম আগ্রা থেকে ৫৬ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে ফতেপুর সিক্রি দেখতে।
ওখানে গিয়ে শুনলাম, আকবরের ছিল অনেক বেগম। ৮০০ পুরনারী- তবুও নিঃসন্তান। অবশেষে এখানে এসে মুসলিম ফকির শেখ সেলিম চিস্তির দোয়ায় পুত্র লাভ করেন। যে জন্য ফকিরের প্রতি কৃতজ্ঞতাবশে তাঁরই গ্রাম ফতেপুর সিক্রিতে রাজধানী স্থানাš—র করেন আকবর। গড়ে ওঠে দুর্গ তথা রাজধানী শহর ১৫৬৯ সালে মোগল সম্রাট আকবরের হাতে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে লাল পাহাড়ীর দেশ পুরুলিয়া
তবে, জলাভাব হেতু ১৬ বছর পরে আবার স্থানান্তর ঘটে রাজধানীর। পুত্রের নামও রাখেন সেলিম-উত্তরকালে তিনি হয়েছিলেন সম্রাট জাহাঙ্গীর।
গাইড এবার একে একে দেখিয়ে দিলেন- দেওয়ানি-আম, শাহী দরওয়াজা, ইবাদতখানা, দেওয়ানি খাস, মিনার, মসজিদ, আকবর জননীর সুনহারা মহল, জাহাঙ্গীর জননী যোধা বাঈয়ের প্রাসাদ। আকবরের খ্রিস্টান বেগম মরিয়মের গোল্ডেন প্যালেস, র“মি সুলতানা বা তুরস্কের বিবি সুলতানা বেগম, কুঠি, বীরবলের বাড়ি, হাওয়া মহল, পাঁচ মহল, সেলিম চিস্তির দরগা …। সিকান্দ্রা দেখা শেষ করে আগ্রায় পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।
পরদিন সকালে এলাম আগ্রা দুর্গে। তাজমহলের ২ কিমি উত্তর-পশ্চিমে যমুনার কিনারায় এই দুর্গ। এখানে এসে দেখলাম- আকবর মহল, জাহাঙ্গীর মহল, যোধাবাহী মহল, মন্দির, শাহজাহানী মহল, শীশ মহল, হামাম, নীলা মসজিদ, দেওয়ানি আম …।
গাইড জানালেন, ওই যে দেখুন একটি মহল। এই মহলটি শাজাহান নির্মাণ করান বেগম মমতাজের জন্য। অথচ দুর্গের এই মহলে পুত্র আওরঙ্গজেবের হাতে বন্দি হয়ে অশ্র“ সজল চোখে তাজমহলের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেহ রেখেছিলেন সম্রাট শাহজাহান …।
এ কথা শুনে মনটা ব্যথিত হয়ে উঠলো। ভাবলাম সম্রাট শাহজাহানের ছেলে আওরঙ্গজেব এতো নিষ্ঠুর হয়েছিল কেন! এই আওরঙ্গজেবই তো হত্যা করেছিল আপন ভাই দারা, সুজা ও মুরাদকে …। ইস্ মানুষ এতো নিষ্ঠুর হয় কী ভাবে! বাবা ও ভাইদের চেয়ে গদি কী এতোই বড়!!
এক বিকেলে গেলাম ইৎমদ উদ-দৌলা সৌধি দেখতে।
সম্রাট জাহাঙ্গীরের উজির বা প্রধানমন্ত্রী মির্জা বেগের রূপসী কন্যা হলেন নূরজাহান। তিনি তার বাবা ও মায়ের মৃত্যুর পরে ইৎমদ-উদ-দৌলা সৌধ নির্মাণ করিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন :ইংল্যান্ডের লেক ডিস্ট্রিক্টের অপরূপ নিসর্গে এক ভারতীয় দম্পতি
ওই ইৎ মদ উদ-দৌলায় রয়েছে নূরজাহানের বাবা মির্জা গিয়াসউদ্দিন বেগ এবং তার মাতার সমাধি।
আগ্রা দুর্গ থেকে ১ কিমি উত্তর-পশ্চিমে যমুনার ওপারে এই সমাধি সৌধ দেখে মনে হলো তাজমহলের চাইতে এটিও বা কম কিসে।
গাইড বললেন, দেখুন দেখুন ইৎ মদ উদ-দৌলা। তাজমহলের পূর্বসূরি এটি। আর মোগল সম্রাটদের হাতে শ্বেতমর্মরে তৈরি সৌধ এটিই প্রথম। পার্সিয়ান ছাপ রয়েছে এর ইন্দো-ইসলাম স্থাপত্যে। সম্রাট শাজাহান অনুপ্রাণিত হন তাজমহল তৈরিতে ইৎ মদ-উদ-দৌলা সৌধ থেকেই। আগ্রায় এগারোবার গিয়েও মনে হয়, আগ্রা দেখা যেনো অসম্পূর্ণ রয়ে গেল …।
প্রেমের সমাধি তাজমহল ঃ
আগ্রার তাজমহল নিয়ে ইদানিং নিন্দুকরা বলছে, এটি নাকি ছিল মন্দির। যারা এমনটিই মন্তব্য করেন তারা হল ইতিহাস বিকৃতকারী। প্রেমের সমাধি তাজমহল। শ্বেতশুভ্র এই সৌধ ভালোবাসার প্রতীক। দেশ-বিদেশের রাষ্ট্রনায়ক থেকে সেলিব্রেটি সকলেই নিজেদের প্রেমকে উজ্জ্বল করে রাখতে এই সৌধের সঙ্গে এক ফ্রেমে জড়িয়ে নিতে চেয়েছেন।
ওবামা থেকে ইংল্যান্ডের রাজকুমার কে নেই, তালিকা দীর্ঘ। প্রেমের এই সৌধ শুধু দেশে নয়, পৃথিবীর অবশ্য দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। তাই তাজমহল জীবনে একবার না দেখলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে এই মনুষ্য জীবন। শ্বেতশুভ্র তাজমহলের নির্মাণ কাহিনি আজ আর অজানা নয়। প্রাণসখা মমতাজকে চিরকাল বাঁচিয়ে রাখতে যমুনার তীরে প্রেমের সৌধ বানিয়েছিলেন সম্রাট শাহজাহান। ইন্দো-পারসিক স্থাপত্যে গড়া তাজ শাহজাহান আর মমতাজকে অমর করে রেখেছে প্রেমের বন্ধনে।
তির তির করে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর খরস্রোতাধারা আজও বহমান। কুড়ি হাজার শ্রমিক বাইশ বছরের চেষ্টায় যে সৌধ বানিয়েছিলেন তা আজ বিশ্বের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। কোরান থেকে আয়াত আরবিতে খোদাই করা লাল বেলে পাথরের প্রবেশ তোরণ পেরিয়ে তাজের প্রাঙ্গণে প্রবেশ। কেয়ারি করা বাগান তাজের সৌন্দর্য আরও বর্ধিত করেছে।
তাজের মাথায় প্রথম রোদের আলোর থেকে পূর্ণিমায় জ্যোৎস্নাকালোকিত স্বপ্নের তাজ যেন এক প্রেমাখ্যান। প্রথম আলোয় শ্বেতশুভ্র গম্বুজ কমলা রঙের আলোছায়ায় মায়াবী হয়ে ওঠে, তারপর বদলে যেতে থাকা আলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে মেলে ধরে তাজ। কখনও পেঁজা তুলোর প্রেক্ষাপটে, কখনও আবার ঘন নীলাকাশের সামনে।
আবার কখনও বৃষ্টিভেজা কালো বাদল মেঘের প্রেক্ষাপটে। যেভাবেই দেখা যাক না কেন কত অপরূপা ” তাজ ” । পূর্ণিমার রাতে অন্যরূপের ধরা দেয় তাজের সৌন্দর্য। মায়াবী আলোয় মাখামাখি করে থাকা প্রেমের সৌধের রূপ বর্ণনা করার নয়। নিঝুম অন্ধকারে জ্যোৎস্না মাখা তাজমহল যেন এক কল্পনার জগৎ। নক্ষত্রের দল তাজের গায়ে নেমে এসে খেলা করে যেন। সব মিলিয়ে তাজ হয়ে ওঠে কবিতা। তাজের সৌন্দর্য বর্ণনায় শেষ করা যায় না। যমুনা আর তাজমহল যেন এক দীর্ঘ উপাখ্যান।