অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ ২০২৫


অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ এ নেওয়ার উপায় এখন জানেন কী?। বর্তমান সময়ে ঘরে বসেই খুব অনলাইনের মাধ্যমে লোন সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের বেশ কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনলাইন মোবাইল লোন সেবাটি বাংলাদেশে চালু করেছে। বাংলাদেশে মোবাইল লোনের জন্য বিকাশ সর্বাধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে “অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ” সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি অনলাইন মোবাইল লোন সম্পর্কিত সকল তথ্য জানাবো।

অনলাইন মোবাইল লোন কী?

অনলাইন মোবাইল লোন হলো এমন একটি লোন যা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যে কোন স্থান থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লোন সেবা গ্রহণ করা যায় তাৎক্ষণিকভাবে। পরবর্তীতে লোন পরিশোধ করার জন্য মোবাইলে থাকা ব্যাংক একাউন্ট নম্বর বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব নম্বরের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করতে হয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। 

অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের সুবিধার্থে অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ এ চালু করেছে। এই দুইটি আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে:

  1. বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন মোবাইল লোন। 
  2. ঢাকা ব্যাংকের ই-ঋণ অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন মোবাইল লোন। 

নিম্নে বিস্তারিত অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে তথ্য আলোচনা করা হয়েছে:

বিকাশ অনলাইন মোবাইল লোন

বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিকাশ অন্যতম ব্যাংক। সাম্প্রতিক সময়ে বিকাশের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক বিকাশের গ্রাহকদের লোন সুবিধা প্রদান করছে। বর্তমান সময়ে বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজেই নূন্যতম ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০,০০০ টাকা লোন নেওয়া যায়।

তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা বিকাশের গ্রাহক কিন্তু বিকাশ থেকে লোন সুবিধাটি পাচ্ছেন না। এ সমস্যার সমাধানে আপনি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারেন। এসকল পদক্ষেপ অনুসরণ করলে আপনি বিকাশ থেকে লোন পাবার যোগ্যতা অর্জন করবেন। যেমন:

  • বিকাশ তথ্য হালনাগাদ করুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ বিকাশ একাউন্টে রাখুন। 
  • বিকাশ ব্যবহার করে বিল পেমেন্ট করুন। 
  • আপনার বিকাশ একাউন্টে ব্যাংক থেকে অ্যাড মানি করুন।
  • একটি বিকাশ সেভিংস করুন। 
  • আপনার বিকাশ নমিনির তথ্য হালনাগাদ করুন।

আপনি যদি এ সকল ধাপ অনুসরণ করেন, তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই প্রত্যাশা করি আপনি আপনার বিকাশ একাউন্টে লোন অপশনে লোন নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন।

আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের পাঁচটি সেরা ক্যাশব্যাক ব্যাংক একাউন্ট

আর তবে বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার পর নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ চার্জ প্রদান করতে হয়। প্রসেসিং ফি (০.৫৭৬%) ও বার্ষিক ৯ শতাংশ হারে চার্জ প্রদান করতে হয় বিকাশ লোনে। বিকাশ থেকে লোনের আবেদনকারীরা ন্যূনতম ৩ মাস লোন পরিশোধ করার সময় পেয়ে থাকেন। তবে যে সকল ব্যবহারকারীরা পে-লেটার অপশনটি ব্যবহার করে লোনের আবেদন করেছেন তারা সর্বোচ্চ ৬ মাস সময় পেয়ে থাকেন লোন পরিশোধ করার। 

ঢাকা ব্যাংকের ই-ঋণ অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন মোবাইল লোন

ঢাকা ব্যাংকের ই-ঋণ এমন একটি লোন যেটি ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত চাহিদা মেটাবার জন্য ঢাকা ব্যাংক থেকে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা থেকে সর্বাধিক ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারেন। তবে এই লোনের অর্থ পরিশোধ করার জন্য গ্রাহক নূন্যতম ৩ মাস ও সর্বোচ্চ ৬ মাস সময় পেয়ে থাকেন। 

ঢাকা ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য ২১ বছর বয়সের বেশি যেকোন নাগরিকের মাসিক আয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা হলে তারা ঢাকা ব্যাংক থেকে মোবাইলের মাধ্যমে লোন নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে লোনের আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র ইউলিটি বিলের ফটোকপি ও বৈধ তথ্য প্রদান করতে হবে।

অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার সুবিধা

উপরে আমরা অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার দুটি পদ্ধতি জেনেছি তবে মোবাইল লোন নেওয়ার পিছনে বেশি কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। এ সকল সুবিধার মধ্যে রয়েছে: 

  • অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে ভোগান্তি ছাড়াই দ্রুত লোন নেওয়া যায় এক্ষেত্রে অন্য কোন ব্যক্তির নিকট থাকা চাইতে হয় না। 
  • ঘরে বসে অতিরিক্ত কোন কাগজ ছাড়াই প্রয়োজন অনুযায়ী লোনের আবেদন করা যায়। 
  • চাহিদা অনুযায়ী কম বেশি অর্থ লোন নেওয়া যায় যা সাধারণত কোন ব্যাংক কম পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে রাজি থাকে না। 
  • অনলাইন মোবাইল লোনের সুদের হার সাধারণত ব্যাংক লোনের সুদের হাড় থেকে তুলনামূলকভাবে কম। 
  • লোন পরিশোধ করার জন্য উক্ত ব্যাংক একাউন্ট বা বিকাশ নম্বরে অর্থ জমা করলে অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হয় এক্ষেত্রে ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হয় না। 

অনলাইন মোবাইল লোন অসুবিধা

বর্তমানে আমরা অনেকেই রয়েছে যারা অনলাইন মোবাইলের সুবিধা জানেন কিন্তু অসুবিধাসমূহ জানেন না এসব গুলো অসুবিধা হতে পারে আপনার জীবনের একটি দুশ্চিন্তার বিষয়। অনলাইন মোবাইল লোনের বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। যেমন:

  • বর্তমান সময়ে অনেকেই তার চাহিদা ওগো বিষয়ের পরিকল্পনা ছাড়াই লোন নিয়ে থাকেন এবং লোনের অর্থ অপচয় করেন। যার ফলে পরবর্তীতে তাকে লোনের অর্থ পরিশোধ করার জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয়। 
  • বর্তমানে বেশ কিছু দুষ্টুচক্র অনলাইনে মোবাইল লোন নামে বিভিন্ন অ্যাপ চালু করেছে যা প্রকৃতভাবে লোন প্রদান করে না। 

শেষ কথা

প্রত্যাশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছি। আপনি যদি অনলাইন থেকে লোন নিতে চান তাহলে এই আর্টিকেলে উপস্থাপিত ২টি অ্যাপ বিকাশ ও ঢাকা ব্যাংকের অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন লোনের আবেদন করুন। 

আরও পড়ুন: কার ইন্স্যুরেন্স বা গাড়ি বীমা: যুক্তরাজ্যের কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য