প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আর পরিণীতি চোপড়া : বলিউডের সেরা দুই নায়িকার অজানা তথ্য


প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আর পরিণীতি চোপড়া-বলিউডের দুই আলোচিত চোপড়া । দেহ প্রদর্শনে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যেমন ছিলেন এগিয়ে, তেমনি পরিণীতি চোপড়াও কিন্তু পিছিয়ে নেই।

এই ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে পরিণীতি চোপড়া অভিনীত ‘কোড নেম – তিরঙ্গা’ মুক্তি পেয়েছে। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পরিণীতি চোপড়া বলেছেন, ‘এর আগের কয়েকটি ছবিতে দর্শকেরা আমাকে ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছে। আমার পেশাগত জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। এই অধ্যায়ের নাম দিয়েছি পরিণীতি ২.০ সংস্করণ।’

পাশের বাড়ির আদুরে ও দুষ্টু -মিষ্টি মেয়ের ইমেজ এখন পুরোপুরি ভেঙে ফেলেছেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। এর আগে বেশ কয়েকটি ছবিতে তাঁকে ব্যতিক্রমী চরিত্রে দেখা গিয়েছিল।

এ সময় পরিণীতি চোপড়া মনে করেন, তাঁর জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। কেননা, তাঁর অভিনীত হালে মুক্তি পাওয়া ‘কোড নেম -তেরঙ্গা’ ছবিটি দর্শকদের বেশ ভাল লেগে গেছে। যে জন্য ছবিঘরে দর্শকের ভিড় উপচে পড়েছে। যেন ছবিটি এবার বক্স অফিসে সাফল্য পেতে চলেছে।

 

পরিণীতি চোপড়া

 

পরিণীতি চোপড়াকে এর আগে – ‘সন্দীপ অউর পিঙ্কি ফারার’, ‘দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন’, ‘সাইনার’ প্রভৃতি ছবিতে দেখা গেলেও ওই ছবিগুলির কোনোটিই বক্স অফিসে সেভাবে সাফল্য পায়নি। তবে ওটিটিতে দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সন্দীপ অউর পিঙ্কি ফারার’ মুক্তির পর সন্দীপ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন পরিণীতি চোপড়া।

এ প্রসঙ্গে ৩৩ বছর বয়স্কা পরিণীতি চোপড়া বলেছেন, ‘আমার অভিনীত আগের ছবিগুলি যদি না চলত বা দর্শক সাধারণ আমাকে সেই সব চরিত্রে প্রত্যাখ্যান করতেন, তাহলে বুঝতাম যে দর্শক আমাকে দেখতে চাইছেন না। আমার আগের ছবিগুলিও দর্শকরা বড় আগ্রহ নিয়ে দেখেছিল।’

পরিণীতি চোপড়ার জন্ম ১৯৮৮ সালের ২২ অক্টোবর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের আম্বালাতে। তাঁর বাবার নাম পাওয়ান চোপড়া -তিনি ছিলেন ব্যবসায়ী।

বলিউডের এই অভিনেত্রী ২০১১ সালে ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বেহেল’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন।

পরিণীতি চোপড়ার একসময় ইচ্ছে ছিল, তিনি একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হবেন। তিনি ম্যানচেস্টার বিজনেস ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা, ফিন্যান্স এবং অর্থনীতিতে তিনটি স্নাতক ডিগ্রী নেওয়ার পর ২০০৯ সালে মুম্বাইতে চলে আসেন। প্রথমে তিনি যশরাজ ফিল্মসে জনসংযোগ পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানে কর্তব্যরত অবস্থাতেই তাঁকে দেখে চলচ্চিত্র পরিচালক মনীশ শর্মার খুব ভাল লেগে যায়। মনীশ শর্মাই পরিণীতি চোপড়াকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার জন্য প্রস্তাব রাখেন। আর এ ভাবেই পরিণীতি চোপড়ার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে।

পরিণীতি চোপড়া অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হল – ২০১২ সালে ইশাকজাদে ; ২০১৩ সালে শুদ্ধ দেশী রোমান্স ; ২০১৪ সালে হাসি তো ফাঁসি, দাওয়াত এ ইশক, কিল দিল ; ২০১৭ সালে – মেরি পেয়ারি বিন্দু, গোলমাল এগেইন – ইত্যাদি।

 

পরিণীতি চোপড়া

 

বলিউড আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তিনি এখনও বলিউডের ছবিতে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে ছবিতে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০০ সালে  প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মিস ওয়ার্ল্ড উপাধি লাভ করার পরে তামিল ও হিন্দি সিনেমার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ২০০২ সালে তামিল ‘ঠামিজান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাঁর অভিষেক ঘটেছিল। হিন্দি চলচ্চিত্রে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ধর্মেন্দ্র পুত্র সানি দেওলের বিপরীতে ‘দ্য হিরো’ ছবির মাধ্যমে প্রবেশ করেন।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার জন্ম ১৯৮২ সালের ১৮ জুলাই ভারতের বিহার রাজ্যের জামশেদপুরে।

তাঁর বাবা ও মায়ের নাম – অশোক চোপড়া ও মধু চোপড়া। তাঁরা দু’জনেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ছিলেন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বাবা পাঞ্জাবের আম্বালার অধিবাসী আর তাঁর মাতা হলেন বিহারের অধিবাসী। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার একমাত্র ভাই সিদ্ধার্থ চোপড়া তাঁর থেকে সাত বছরের ছোট। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ছেলেবেলা কেটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে। সেখানকার লা মার্টিনির গার্লস স্কুলের মাধ্যমে শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি ঘটলেও পরবর্তীতে অনেকগুলো স্কুল -কলেজ বদলাতে হয়েছে তাঁকে। আমেরিকার বোস্টনে পড়ার সময় স্বাধীনচেতা প্রিয়াঙ্কা বাবা -মাকে জানিয়ে দেন তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া অথবা অপরাধ বিষয়ক মনোবিজ্ঞান দুটোর একটা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে চান তিনি। মানুষের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার বিষয়টি তাঁকে খুব ভাবাত। হিউম্যান সাইকোলজি তাঁর বরাবরই প্রিয় বিষয়। বাবা -মা কখনও প্রিয়াঙ্কার ইচ্ছার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াননি। মেয়েকে তার মতই চলতে দিয়েছেন। স্কুলে পড়াকালীন সময়েই প্রিয়াঙ্কা ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং নিজেকে তৈরি করেন সেভাবে। মিস ইন্ডিয়া বনে যাওয়ার ঘটনাও প্রিয়াঙ্কার জন্য ছিল একটা দারুণ প্রাপ্তি।

চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বহু পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –

পদ্মশ্রী, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার -ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: শানায়া কাপুর : বলিউডে ঝড় তুলবেন যে নতুন নায়িকা

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হল – ২০০৬ সালে কৃষ, ডন ; ২০১১ সালে ডন টু ; ২০১২ সালে বর্ফী, অগ্নিপথ ; ২০১৩ সালে জাঞ্জির, কৃষ থ্রি ;

২০১৫ সালে বাজীরাও মাস্তানী ; ২০১৯ সালে দ্য স্কাই ইজ পিনক -ইত্যাদি।

‘না বিইয়ে কানাইয়ের মা’ – এই প্রবাদটি একসময়  অনেকেরই মুখে শোনা যেত। প্রবাদটি ছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে কেন্দ্র করে।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নিজের গর্ভে সন্তান ধারণ করবেন নাকি অন্য মেয়ের গর্ভ ভাড়া নিয়ে মা হবেন তা পুরোপুরি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।

 

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

 

সেই প্রসঙ্গেই দিন কয়েক তোলপাড় হয়েছিল ‘না বিয়েই কানাইয়ের মা’ এই প্রবাধ নিয়ে। যার মূলে সমাজের কানাই বা কেষ্ট। তাঁর কংস মামা যদি না বোন দেবকীর সব কটা ছেলেকে মারার ফন্দি না আঁটত তাহলে দেবকীর সুখপ্রসব হতেই পারত কংসের কারাগারে আর অত দুর্যোগ মাথায় করে বসুদেবেরও মথুরা থেকে যমুনা পেরিয়ে বৃন্দাবনে গোপীদের ডেরায় যেতে হত না। সেখানে নন্দের স্ত্রী যশোদার কোলে কৃষ্ণকে রেখে এসে সে যাত্রায় কংসের হাত থেকে ছেলে কৃষ্ণকে বাঁচালেন বসুদেব আর যশোদা হলেন কী না, না বিইয়ে কানাইয়ের মা।

কিন্তু যশোদা সেবার বিইয়েছিলেন বটে। তবে ছেলে নয় একটা মেয়ে। যাকে নিয়ে বসুদেবের কারাগারে ফিরে আসা, তাকে আছাড় মারা বা যোগমায়া প্রভৃতির বাকি সব গল্প অনেকেরই জানা।

এদিকে কার্তিকের জন্মটাও যেন কেমন -কেমন মনে হয়। দুর্গার যুদ্ধ করার জন্য দরকার একজন সেনাপতির।

এবার তিনি কীভাবে সেই ছেলে পাবেন সেসব বাপু তাঁদের চিন্তাভাবনা। তাতে কার বা কী আসে যায়।

এ ব্যাপারে কারও নাক গলাবারই কি দরকার।

আসলে যুগে যুগে মেয়েরা ফোকটে কিছু পেয়ে গেলেই যেন গেল গেল রব ওঠে। যেন সেই নেবার’স এনভি, ওনার’স প্রাইডের মতো।

তা দেখি এবার দুর্গা কীভাবে কার্তিকের মা?

তারকাসুরকে নিধন করার জন্য ব্রহ্মার মনে হল শিব ও পার্বতীর একটা ছেলের দরকার যে কিনা হবে দেবসেনাপতি।

ব্রহ্মার আদেশ মাথায় নিয়ে শিব -পার্বতী ছেলে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করলেন। ব্রহ্মা মদনদেবকে প্রথমে পাঠালেন শিব -পার্বতীর কাছে।

শিব চরম উত্তেজনার মুহূর্তে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে মদনকে বাণ মেরে ছাই করে দিলেন।

এবার পাঠানো হল অগ্নিকে। শিবের রেতঃ স্থলিত হল অগ্নির সামনে। অগ্নি মূল্যবান বীর্যটুকু গঙ্গায় ফেলে এলেন। সেখান থেকে দেবশিশুর জন্ম হল।

তাই গঙ্গা হল কার্তিকের জন্মদাত্রী জননী।

এবার কে দেখাশোনা করবেন এই সদ্যোজাতকে?

গঙ্গার তো অবৈধ শিশু কার্তিক।

 

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

 

উপায়ও হল। ৬ কৃত্তিকা ওই শিশুকে স্তন্যদান করে পালন করলেন। পার্বতীর অভিমান হল। যেহেতু ওই ছেলে শিবের ঔরসজাত ওই ছেলের মা হবেন তিনিই।

তাই মা দুর্গাকে সেই ছেলে ফেরত দেওয়া হল। গঙ্গার গর্ভে জন্ম তাই কার্তিকের আরেক নাম গাঙ্গেয়।

৬ জন কৃত্তিকা মায়ের মতো পালন করেন তাই কার্তিকের পালিকা মা বা ফস্টার মাদার তাঁরা।

তবে মা যেই হোন, পালন যেই করুন না কেন, দুর্গা কিন্তু না বিইয়ে শিবসুত কার্তিকের মা।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত ‘দোস্তানা’ ছবিটি বেশ আলোচিত। মুক্তি পেয়েছিল ২০০৮ সালে। কাহিনী ও পরিচালনায় – তরুণ মনসুখানী।

অভিনয়ে ছিলেন – অভিষেক বচ্চন, জন আব্রাহাম, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ববি দেওল, কিরণ খের, সুস্মিতা,

শিল্পা শেঠি, বোমান ইরানি এবং আরও অনেকে।

ছবিতে সমীর স্যাম আচার্য একজন পুরুষ নার্স আর কুনাল একজন ফ্যাশন ফটোগ্রাফার।

তারা মেয়েদের সাথে সারাদিন কাটাবার পরে দুই বন্ধু আবার রাতে একত্রে মিলিত হন। একই বিছানায় ঘুমান।

এরই মধ্যে  এক সমকামী সৈনিকের সাথে দেখা করে স্যাম —

তার সঙ্গে  সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন । সমকামীর সঙ্গে মেলামেশা করার পরে স্যাম সমকামী কাজে অনিচ্ছুক হয়ে  কুনালকে দৈহিক মিলন কাজে আর প্ররোচিত করেন না — অথচ তারা দু’জনে এই সেদিনও একে অপরের প্রেমিক ছিলেন।

আরও পড়ুন:পূজা নামের পাঁচ অভিনেত্রীর কিছু অজানা তথ্য

এ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে গিয়ে নেহার সঙ্গে ওদের  ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে — এরা হলেন নেহা, স্যাম ও কুনাল।

স্যাম এবং কুনাল মহড়া চালিয়ে যাচ্ছেন, হঠাৎ পরিচয় সুন্দর যুবক সুনামের সঙ্গে, সে আমেরিকার নাগরিক — সে এ কাজে রাজী না হওয়ায় কুনাল ও স্যাম তাদের সাথে ঘরোয়া অংশীদারিত্বের জন্য আবেদন করতে রাজী করান।

এরপরই সুনাম গোপনে তাদের অজানা মেলামেশা সংক্রান্ত একটি  চিঠি লিখে পাঠালেন  লন্ডনে তার রক্ষণশীল মা মিসেস আচার্যাকে।  তাতেও দমলেন না কুনাল।

নেহা চাকরি নেয়ার জন্য একজন সম্পাদককে তার বাড়িতে ডিনারের জন্য আমন্ত্রণ জানান। সেখানে স্যাম এবং কুনালকে তাকে বিনোদন দেয়ার জন্য বললেন । নিরূপায় হয়ে এই মার্কিন ভদ্রলোকটিও তাদের দলে যোগ দিলেন।

 

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

 

বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় যখন রাণী লন্ডন থেকে তার ছেলের নতুন যৌন সম্পর্কের কথা জানতে পারেন।

জিজ্ঞাসা করা হলে স্যাম কুনালের সাথে তার সম্পর্ক অস্বীকার করার চেষ্টা করে তবে অভিবাসন এজেন্ট নিশ্চিত করে যে তারা দু’জন যৌন সম্পর্কের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত এবং এরা একে অপরের অংশীদার। নেহাও এই কথা বলেন।

পরের দিন নেহার অফিসে নতুন সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পেলেন অভি সিংহ — এ জন্য নেহা আদৌ খুশী হতে পারেননি।

সন্ধ্যার পর নেহা কুনালের মা মিসেস আচার্যার মুখোমুখি হন — তিনি বলেন, আমার ছেলের যৌনতা মেনে নিয়ে তাকে গ্রহণ করো।

নেহা বলেন, আমি তো দুজনকেই ভালবাসি। তবে এরা আমার বন্ধুর মত।

সেই সময়ে নেহার সঙ্গে অভির যৌন সম্পর্ক গড়ে ওঠে —তা কুনাল ও স্যামকে বিব্রতবোধ করে তোলে।

এক বিকেলে বাস্কেটবল খেলার সময় কুনালের সাথে সমীরের ঘনিষ্ঠতা অভির চোখে পড়ে। অভি কিছু বাজে মন্তব্য করলে সেই দিনই নেহার এ্যাপার্টমেন্ট থেকে অভিকে উচ্ছেদ করা হলো।

এ জন্য নেহার সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দিল —

বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কি আর করা কুনাল ও স্যাম মঞ্চে উঠে নেহার ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। জনতা তাদের হাঁটুতে ভিক্ষা করতে উৎসাহিত করে, বলে যে তারা তাকে ভালবাসে — চুম্বন দিতে থাকে একের পর এক। এ অবস্থা দেখে নেহা ও অভি হাসতে থাকে , আর কুনাল স্যামকে চুমু খেলেন।

কুনাল ও স্যাম এই রকম কাজে অভিকে প্রস্তাব দিলে সে রাজী হয়।

দু’মাস পরে নেহা কুনাল এবং স্যামকে জিজ্ঞাস করলেন, তারা সত্যিই কী সমকামী ?

উত্তরে কুনাল ও স্যাম জানালেন, যা কিছু করেছি সব ভান — আর চুম্বন খাওয়াকে ইঙ্গিত করেছি – না বলে। নেহা ওদের দিকে তাকিয়ে রইলেন।

২০১৮ সালে মার্কিন পপ তারকা নিক জোনাস ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এই দম্পতি সারোগেসি পদ্ধতিতে তাঁদের প্রথম সন্তান গ্রহণ করেন।