মুলতান: মুহাম্মদ ঘুরীর প্রথম অভিযান যেখানে শুরু হয়েছিল


ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম এক সাহসী যোদ্ধা মুহাম্মদ ঘুরী ছিলেন বর্তমান আফগানিস্থানের বাসিন্দা। মুহাম্মদ ঘুরীর প্রথম অভিযান শুরু হয়েছিল মুলতান অঞ্চলের উপর। এ অঞ্চলটি তখন কারামতী সম্প্রদায়ের মুসলমানদের দ্বারা শাসিত হয়। মুহাম্মদ ঘুরী মুলতান অধিকার করে সেখানে একজন শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। মুলতান অধিকারের পর মুহাম্মদ ঘুরী সিন্ধুর উচের দিকে অগ্রসর হন এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে এটি অধিকৃত হয়।

মুলতান শহরটি প্রাচীন – শহরটি খ্যাতনামা মুলতান সূর্য মন্দিরের এলাকায় ছিল। তবে ম্যালিয়ান অভিযানের সময় আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট তা অবরোধ করেছিলেন।

মুলতান মধ্যযুগীয় ইসলামি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল।

একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীতে একাধিক সুফি সাধকের আগমন ঘটে এই মুলতান শহরে। আর এ জন্য শহরটি সুফিদের শহর, মাদিনাত -উল -আউলিয়া, গম্বুজের শহর ইত্যাদি নামে সমধিক খ্যাত ছিল। মুলতান শহরের নিকটবর্তী উচ শহরটি সুফি আউলিয়াদের মাজারের জন্য বিখ্যাত।

মুলতান পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যে অবস্থিত। এই শহরটির আয়তন মোট ১৩৩ বর্গকিলোমিটার অর্থাৎ ৫১ বর্গমাইল। মুলতানের নিকটবর্তী প্রধান শহরগুলো হলো ডেরা গাজী খান, ভাওয়ালপুর।

মুলতান মধ্য পাকিস্তানের পাঁচটি নদী দ্বারা তৈরি একটি বাঁকিতে অবস্থিত। শতদ্রু নদীটি ভাওয়ালপুর এবং চেনাব নদীটি মুজাফফরগড় থেকে একে পৃথক করে রেখেছে।

মুলতান শহরের চারপাশের অঞ্চলটি সমতল, পলল সমভূমি হওয়াতে সেখানে প্রচুর পরিমাণে কমলা, লেবু ও আম উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

মুলতানে গ্রীষ্মকালে খুব গরম এবং শীতকালে খুব ঠান্ডা পড়ে ।  এখানকার গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১৮৬ মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা হল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাছাড়া মুলতান উষ্ণ আবহাওয়ার জন্য পরিচিত। মুলতান শহরের উচ্চতা ৪০০ ফুট বা ১২২ মিটার।

মুলতানের জনসংখ্যা ২,৮০০,৯০০ জন।

মুলতান জেলা ৩,৭২২ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং চারটি তফসিল নিয়ে গঠিত। তা হল – মুলতান সিটি, মুলতান সদর, শুজাবাদ ও জালালপুর পীরওয়ালা। বর্তমানে মুলতান জেলা ৬টি শহরে বিভক্ত রয়েছে। এগুলো হলো – বোসান, শাহ রুকন -ই আলম, মুমতাজাবাদ, শের শাহ, শুজাবাদ, জালালপুর পীরওয়ালা।

আরও পড়ুন: দিলীপ কুমারের দাদাবাড়িতে

ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী মুলতান জেলার উত্তর ও উত্তর -পূর্ব দিকে খানেওয়াল জেলা, পূর্বে বিহারি জেলা এবং দক্ষিণে লোধরান জেলার সীমানা ঘিরে রেখেছে। চিনাব নদীটি রয়েছে মুলতান শহরের পশ্চিম দিকে। চিনাব নদী মুলতানের পাশ দিয়ে বয়ে মুজাফফরগড় জেলার দিকে চলে গেছে।

মুলতান শহরটি চেনাব নদীর তীরে অবস্থিত।

মুলতান জেলার লোকজন বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাষা হল – সরাইকি, পাঞ্জাবি, উর্দু।

মুলতান শহরটি চেনাব নদীর তীরে অবস্থিত।

মুলতান জেলার লোকজন বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাষা হল – সরাইকি, পাঞ্জাবি, উর্দু।

মুলতানের দর্শনীয় হলো – হযরত শাহ রুকন -এ আলমের সমাধিসৌধ, ফোর্ট কোহনা কাশিম গার্ডেন, ঘন্টা ঘর, শিরিনে অফ বাহাউদ্দীন জাকারিয়া স্মৃতিস্তম্ভ, শাহ আলী আকবরের সমাধিসৌধ, চামন জার -ই আশকারি পার্ক, লালাক জান পার্ক, হেড মোহাম্মদ ওয়ালা ব্রিজ, শাহ ইউসুফ গারদেজির সমাধিসৌধ, কিল্লা কোহনা কাসিমবাগ স্টেডিয়াম, শাহ সামস পার্ক, ঈদগাহ, সিএসডি পার্ক, ক্যান্টনমেন্ট গার্ডেন, মুলতান ঝিল, সূর্য কুন্ডু মন্দির, হারাম গেট, চিড়িয়াখানা, জিন্নাহ পার্ক -ইত্যাদি।

শহরের নাম হায়দ্রাবাদ –

ইসলামের নবী হযরত মোহাম্মদ (স.) এর চাচাতো ভাই এবং ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলীর সন্মানে হায়দ্রাবাদ শহরটি।

হায়দারের নামের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে ‘সিংহ নগর’ হিসাবে অনুবাদ করা হয়ে থাকে – হায়দার নাম থেকে অর্থ দাঁড়ায় সিংহ এবং আবাদ -এর একটি উপধারাকে বোঝায়। তবে এখানে সিংহ -এর অর্থ বোঝায় হযরত আলীর যুদ্ধের সাহসী ভূমিকাকে। তাই তাকে প্রায়শই আলী হায়দার বলে অভিহিত করা হয়। যার অর্থ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমরা ‘আলী দ্য লায়নহার্ট’ বা আলী সিংহ হৃদয়।

এই হায়দ্রাবাদ শহরটি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে অবস্থিত একটি অন্যতম শহর। হায়দ্রাবাদ শহরটি করাচি থেকে ১৪০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। হায়দ্রাবাদ শহরটি সিন্ধু প্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবসতিপূর্ণ শহর এবং পাকিস্তানের অষ্টম বৃহত্তম শহর।

কালহোরা রাজবংশের মিয়া গোলাম শাহ কালহোর কর্তৃক ১৭৬৮ খৃষ্টাব্দে হায়দ্রাবাদ শহরটি প্রতিষ্ঠিত করেন। পরবর্তী কালে ইংরেজরা ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে সিন্ধু প্রদেশের  রাজধানী করাচিতে স্থানান্তরিত করে। এর আগে সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী ছিল তালপুরে।

হায়দ্রাবাদ শহরে রয়েছে – মিয়া গোলাম শাহ কালহোরের সমাধিসৌধ, মীরের সমাধিসৌধ, রানীবাগ, ক্লকটাওয়ার, নবলরাই মার্কেট।

হায়দ্রাবাদ শহরটির আয়তন মোট ৩১৯ বর্গকিলোমিটার। শহরটির উচ্চতা ৪৩ ফুট বা ১৩ মিটার। জনসংখ্যা প্রায় ১৮,০০,৭০০ জন।

হায়দ্রাবাদ শহরের সঙ্গে সড়কপথে করাচি, মুলতান, ইসলামাবাদ, ফয়সালাবাদ, গুজরানওয়ালা, সুক্কুর,  শিয়ালকোট এবং পেশোয়ার সহ অন্যান্য স্থানের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। এছাড়া রেল যোগাযোগ তো রয়েছেই।

পাকিস্তানের বৃহত্তম দু’টি মহাসড়ক সিন্ধু হাইওয়ে এবং জাতীয় মহাসড়ক হায়দ্রাবাদ শহরটির সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।

হায়দ্রাবাদের আশেপাশের কয়েকটি শহর হলো – কোটরি, জামশোরো, হাটরি, হুশরি।

গুজরানওয়ালা –

শহরের নাম গুজরানওয়ালা, একদা ছিল রাজধানী।

গুজরানওয়ালা হল পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের একটি শহর। এ শহরটি পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের উত্তরে অবস্থিত।

গুজরানওয়ালা শহরটি ১৮শ শতকে গড়ে ওঠে। পাঞ্জাবের উত্তরের শহরগুলোর তুলনায় এটি একটি আধুনিক শহর।

১৭৬০ থেকে ১৭৯৯ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত গুজরানওয়ালা শহরকে রাজধানী হিসেবে ধরা হতো। এই জেলার  আয়তন মোট ৩,১৯৮ বর্গকিলোমিটার অর্থাৎ ১,২৩৫ বর্গমাইল। গুজরানওয়ালা জেলার জনসংখ্যা মোট ৫১,১৪,৬০০ জন।

শহরের জনসংখ্যা ২১,১৮,২০০ জন।

গুজরানওয়ালা বর্তমানে পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্পকেন্দ্র, এটি তাদের দেশের জিডিপিতে ৫ শতাংশ অবদান রেখে আসছে।

গুজরানওয়ালা চেনাব নদীর উত্তরে এবং রবি নদীর দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। এ অঞ্চলটি উত্তর পাঞ্জাবের ঐতিহাসিক মাজা অঞ্চলের অংশ। শহরটি সমভূমিতে নির্মিত হয়েছিল এবং এর আশেপাশের অঞ্চল স্থলভাগের বৈচিত্র্যবিহীন অখণ্ড সমভূমি।

গুজরানওয়ালা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৪৪ ফুট অর্থাৎ ২২৬ মিটার উঁচুতে অবস্থিত।

লাহোর থেকে উত্তর দিকে অবস্থিত এই গুজরানওয়ালার দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। শিয়ালকোট এর কাছাকাছি একটি শহর। গুজরানওয়ালা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ –

পশ্চিমে ফয়সালাবাদ। এর পশ্চিমে রয়েছে হাফিজাবাদ এবং পিন্ডি ভাট্টিয়ান – যা গুজরানওয়ালাকে ঝং, চিনিওট এবং সারগোধার সঙ্গে সড়কপথে সংযুক্ত করেছে।

গুজরানওয়ালাতে গ্রীষ্মকাল জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। তখন এখানে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্তও হয়ে থাকতে। শীতকাল হল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। তখন তাপমাত্রা গড়ে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়।

গুজরানওয়ালা শহরটি ৭টি নির্বাচনী পৌরসভা নিয়ে গঠিত। পৌরসভাগুলি হল – আরূপ, কামোঁকে, খিয়ালি শাহপুর, নন্দীপুর, নওশেরা বিরকান, কিলা দিদার সিংহ এবং ওয়াজিরাবাদ।

গুজরানওয়ালা জেলার প্রায় ৯৮ শতাংশ লোক পাঞ্জাবি ভাষায় কথা বলে।

গুজরানওয়ালা জেলাটি কয়েকটি তহশিলে বিভক্ত। যেমন – গুজরানওয়ালা শহর, গুজরানওয়ালা সদর, ওয়াজিরাবাদ তহশিল, কামোঁনি, নওশেরা ভিরকান। এছাড়া, এই তহশিলের অধীনে বেশ কয়েকটি শহর রয়েছে। যেমন – খেয়ালি শাহপুরি শহর, অরূপ শহর, নন্দিপুর শহর, কিলা দিদার সিংহ শহর, ওয়াজিরাবাদ শহর, কামোঁনি শহর, নওশেরা ভিরকান শহর।

গুজরানওয়ালার দর্শনীয় হলো – ফান দুনিয়া অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, গুলশান – ই ইকবাল পার্ক, সিটি থিম পার্ক, নিশান -ই মঞ্জিল, জিন্নাহ পার্ক, গুরুদোয়ারা ররি সাহিব।

গুজরাট শহর –

গুজরাত হলো পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের একটি শহর।

এটি গুজরাত জেলার প্রধান শহর। গুজরাত হলো পাকিস্তানের ১৮তম বৃহত্তম শহর। গুজরাটকে গুজরাতও বলা হয়।

গুজরাত শহরের কাছাকাছি শহর হল গুজরানওয়ালা ও শিয়ালকোট।

গুজরাত জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঝিলাম আর চিনাব নদী।

ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী, গুজরাত শহরটির উত্তর পূর্ব দিকে জম্মু ও কাশ্মীর, পূর্ব ও পশ্চিমে ঝিলাম নদী। তাছাড়া দক্ষিণ -পূর্ব দিকে বয়ে যাওয়া চিনাব নদীটি গুজরাট ও শিয়ালকোট জেলা দু’টিকে বিভক্ত করে রেখেছে। মন্দি বাহাউদ্দীন জেলাটি গুজরাটের পশ্চিম দিকে অবস্থিত।

গুজরাট জেলায় ৩টি তহশিল রয়েছে, এগুলো হলো –
সরাই আলমগীর, খরিয়ান ও গুজরাট।
গুজরাট জেলার আয়তন মোট ৩,১৯২ বর্গকিলোমিটার বা ১,২৩২ বর্গমাইল।
জেলার জনসংখ্যা মোট প্রায় ৩০ লক্ষ।

এই জেলার অভ্যন্তরে রয়েছে কয়েকটি ঐতিহাসিক গ্রাম ও শহর। এগুলো হলো – কথলা চিনাব, বর্ণালি, জালালপুর, জাতান, চাকদিনা, কর্ণানা, কুঞ্জহ, সেহনা, জাগওয়াল, লালমুস – ইত্যাদি।

গুজরাট শহরের প্রধান আকর্ষণ হলো ঈদগাহ মসজিদ। এ মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল মোগল আমলে।

শিয়ালকোট –

খেলাধুলার সামগ্রী উৎপাদনের কেন্দ্রস্থল

শিয়ালকোট। শিয়ালকোটের দর্শনীয় স্থান হলো – ক্লক টাওয়ার, শাওয়ালা তেজা সিংহ টেম্পল, ফাতেমা জিন্নাহ গ্যারিসন পার্ক, শিয়ালকোট দুর্গ, কবি ইকবাল মঞ্জিল, গুলশান – এ ইকবাল পার্ক, ইকবাল স্কোয়ার, ডেনসিং ফাউন্টেন পার্ক, হলি ট্রিনিটি ক্যাথেড্রাল, কিলা, সিটি হাউজিং জ্যু।

শিয়ালকোট হলো পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের একটি শহর। এটি পাকিস্তানের তেরোতম জনবহুল শহর।

উত্তর -পূর্ব পাঞ্জাবে অবস্থিত এটি পাকিস্তানের অন্যতম শিল্পোন্নত শহর। গুজরানওয়ালা এবং গুজরাট শহর দু’টি শিয়ালকোট থেকে খুব কাছাকাছি।

শিয়ালকোট শহরকে গোল্ডেন ট্রায়কঙ্গেল বলা হয়। এ শহরের শিল্পগুলি জাতীয় কোষাগারকে শক্তিশালী করতে বার্ষিক ২৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে।
শিয়ালকোট শহরের আয়তন মোট ১৯ বর্গকিলোমিটার অর্থাৎ ৭ বর্গমাইল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে শহরের উচ্চতা ৮৪০ ফুট অর্থাৎ ২৫৬ মিটার। শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ।
শিয়ালকোট শহরে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি ফুটবল খেলার সামগ্রী উৎপাদন করা হয়।

শিয়ালকোটকে প্রাচীন সাগালার স্থান বলে মনে করা হয়। এ শহরটি ৩২৬ খ্রীস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট কর্তৃক ধ্বংস করা হয়েছিল। তারপরে খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দীতে মেনান্ডার প্রথম দ্বারা ইন্দো -গ্রীক রাজ্যের রাজধানী করা হয়েছিল। আর সে সময় থেকে শহরটির ব্যাপক সমৃদ্ধি লাভ করতে থাকে। ক্রমশ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হয়। লাহোরের আগে শিয়ালকোট ছিল পাঞ্জাবের অন্যতম রাজনৈতিক কেন্দ্রস্থল।

শিয়ালকোটের বিশিষ্ট পণ্ডিত, দার্শনিক ব্যক্তিত্ব হলেন – কবি ইকবাল, গুলজারিলাল নন্দ, কুলদীপ নায়ার, চিত্র নায়ক রাজেন্দ্র কুমার, সংগীতশিল্পী গোলাম আলী, জহির আব্বাস।

পাকিস্তানের তৃতীয় ঐশ্বর্যশালী শহর বলা হয় এই শিয়ালকোটকে। এই শহরে সেনানিবাস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫২ খৃষ্টাব্দে। শিয়ালকোট জেলার আয়তন মোট ৩,০১৬ বর্গকিলোমিটার অর্থাৎ ১,১৬৪ বর্গমাইল। জেলার জনসংখ্যা ৩৯,৯৯,৭০০ জন। এই জেলায় ৪টি তহশিল রয়েছে, এগুলো হলো – ভাসকা, পাসপুর, সামব্রাইয়াল, শিয়ালকোট